Home » এবার হাইকোর্টের রোষানলে সিবিআই

এবার হাইকোর্টের রোষানলে সিবিআই

ইদানিং কালে রাজ‍্য রাজনীতির খবর শেয়ার বাজারের মতই কখনো উপরে আবার ক্ষনিকেই তলানিতে যাবার মত বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একদিকে যেখানে রাজ‍্য সরকারের মন্ত্রী বা শাষক দলের নেতাদের নানান বিষয়ে দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে, রাজ‍্যে কেন্দ্রীয় ( দেশের উচ্চ ) তদন্তকারী দল সিবিআই কে তদন্তে পাঠিয়েছেন অন‍্যদিকে সেই সিবিআইয়ের ওপরেই আস্থা হারিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়।

বলাবাহুল‍্য, রাজ‍্যে দূর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া বিচারপতিদের মধ‍্যে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এখন দূর্নীতির শিকার হওয়া অসহায় রাজ‍্যবাসীর কাছে ভগবান। তার আপোশহীন বিচারধারা দূর্নীতির ভীত দূর্বল করেছে।

রাজ‍্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক দূর্নীতি তদন্দ করে সামনে এনেছে দেশের সর্বোচ্চ ও শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী দল সিবিআই, আর সেই সিবিআই কেই আজ হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়তে হল। গতকালই তদন্তে দেরী হবার কারনে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন – ” তদন্ত করতে দশ মাস সভয় লাগছে? এটি কি ইয়ার্কি হচ্ছে ? ”

আর আজই রাজ‍্যে সিবিআই তদন্তকারী দলের অন‍্যতম অফিসার সোমনাথ বিশ্বাস কে, সিট থেকে বেরোতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের কোন আবেদন তিনি গ্রাহ‍্য করেননি। সাথে সাথে অপসারিত তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেন -“সিবিআই কে সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। উনি কোন সরকারি সংস্থায় কাজ করার উপযুক্ত নন। শুধুমাত্র উনিই নন, তদন্তের কাজে যুক্ত সমস্ত সিবিআই আধিকারিক দের সম্পত্তি জানতে হবে। ”

এদিন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এই রায় দিতে গিয়ে আরো বলেন – আমাকে তো দেখছি এবার সিবিআইয়ের পরিবর্তে MI5 এর ওপর ভরসা করতে হবে। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্য্য কে কেন্দ্র করেও সিবিআই কে মাননীয় বিচারপতির ভৎসনা শুনতে হয়। মানিক ভট্টাচার্যের সাথে OMR sheet এর উত্তর মূল‍্যায়নকারী সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠতা কেন সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন – মানিক বাবুর তদন্ত করতে কি সিবিআই কে গুঁতো মেরে কাজ করাতে হবে?

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায় দানের পরেই রাজ‍্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের “সরষের মধ‍্যে ভূত” দেখার মত ভাববাচ‍্য সামনে আসছে।

জানেন কি MI5 কি?

MI5 হল ব্রিটেনের সিক্রেট ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের একটি শাখা যার শুরু হয় 1909 সালের অক্টোবর মাসে, সিক্রেট সার্ভিস বু‍্যরো নামে। ত‍ৎকালীন সময় এই সংস্থা আর্মি ও নেভি তে কাজ করতো। নেভির দায়িত্ব ছিল অন‍্য দেশে গোয়েন্দাগিরি আর আর্মির দায়িত্ব ছিল দেশের আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা। পরবর্তীকালে নেভি বিভাগের নাম করন হয় MI6 ও আর্মি বিভাগের নাম হয় MI5

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!