আমাদের এই বাংলায় নাজানি আছে কত রীতি রেওয়াজ। যার অনেকাই আজ স্মৃতির পাতায় চলেগেছে। তবে তারমধ্যে রয়েছে এখনো বেশ কিছু। গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা অধিক ফসলের জন্য যাতে সঠিক বৃষ্টি হয় তাই ব্যাঙের বিয়ে দেন ঘটা করে। এ রকম রীতি চালু আছে কিন্তু গরুর বিয়ে দেওয়া হয় এরকম কি জানতেন? হ্যাঁ ঘটা করে নিয়মকানুন মেনে বাড়ির পোষা গরুর বিয়ে দেওয়া হল বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়া : জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আর পাঁচটা বিবাহ যেমন হয় ঠিক তেমন ভাবে ।পাত্র পাত্রী তৈরি। নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম রীতি মেনেই হল বিয়ে। তবে মানুষের নয় বিয়ে হল গরুর। প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে , লোক উৎসব বাঁদনা পরব।ভাই ফোঁটার আগের দিনই লোকসংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে এই বাঁদনা পরব পালিত হয়।
বাঁদনা অর্থ গো বন্দনার উৎসব।বিয়ে বলে কথা সকাল সকাল গরুদের স্নান করিয়ে বিভিন্ন রং দিয়ে ছোপানো হল গায়ে।গলায় পরানো হলো মালা।পায়ে জল ঢেলে সেই জল গামছা দিয়ে মোছানো হয় পা।এরপর গরুর পায়ে ঘুঙুর পরিয়ে,মাথা আঁচুরে দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। বিয়ের পর মিষ্টি খাওয়ানো হয়।এই চিত্র দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার আকুই শাহসপুর সিমুলিয়া মঙ্গল পুর নাড়রা দশরথবাটি বাড়িতে বাড়িতে।সিমুলিয়া দশরথবাটি গ্ৰামের মানুষেরা বলেন, ছোট থেকেই দেখে আসছি দাদু,বাবারা এই ভাবে গরুর বিয়ে দিত আজ আমরা দিচ্ছি।সারা বছর ধরে সেবা করে যে গরু, তাকে তো কিছুটা ফিরিয়ে দিতেই হবে।
বাঁকুড়া থেকে দেবজিৎ দত্ত