Home » পুজোয় ভালো রাখুন ”হার্ট” কে । HEALTH TIPS

পুজোয় ভালো রাখুন ”হার্ট” কে । HEALTH TIPS

বাঙালীর ১২ মাসে ১৩ পার্বণের সব থেকে বড় পার্বণ হল শারদ উৎসব ।  আগে শারদ উৎসব ছিল ৫ দিনের যা আজ প্রায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দিনে । এখণ প্রথমা থেকেই শুরু হয়েযায় হৈ হুল্লোড়। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি । বিশ্বকর্মা পূজো বা রান্না পূজো থেকে শুরু করে শেষ হয় ভাইফোঁটায় গিয়ে শেষ হয় বাঙালীর শারদীয় রসনা তৃপ্তি ।

গোটা বিশ্বে বাঙালী একমাত্র জাতি যারা সব থেকে বেশি ”খাওয়া” বা বলা ভালো ২৪ ঘণ্টায় কখন কি খাবো সেই নিয়ে বেশি ভাবে । সেখানে নিজের স্বাস্থ্যের খবর রাখে খুব কম মানুষ । শুধু তাই নয় , একটি বেসরকারি সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতের সব থেকে বেশি ফাস্ট ফূডের বিপণন একমাত্র কোলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই । আর এখান থেকেই শুরু হয় হার্টের সমস্যা । তাই পূজোয় আপনার নিজের ও প্রিয় জনের হৃদয় ভালো রাখার জন্য রইলো দারুণ একটি টিপস।

আমরা অনেকেই রান্না করার সময় কুমড়োর তরিতরকারি করলে তার বীজ টা ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু গবেষণা বলছে এই কুমড়োর বীজেই রয়েছে প্রচুর প্রোটিণ, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও বিটা ক্যারোটিন । যা আমাদের শরীরের পক্ষে , বিশেষ করে হার্টের জন্যও উপকারী ।

১। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে -যা হৃত্‍পিণ্ড সুস্থ রাখার জন্য দারুন উপকারী।  কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী।

২। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে কম থাকে ম্যাগনেশিয়াম । দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী  প্রায় ৩৭ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কুমড়ার বীজে।এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩। কুমড়ার বীজে ফসফরাসও পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের সেরা উত্‍স হচ্ছে কুমড়ার বীজ। এ কারণে এটি খেলে হজম ভাল হয়।

৪। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে তখন মানসিক চাপও কমে যায়।

৫। কুমড়ার বীজ ওমেগা থ্রি’র ভালো উত্‍স হওয়ায় এটি মাংসপেশী নরম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক এবং ফসফরাস হাড় মজবুত করে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়।

৬।  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- ক্যারোটোনয়েডস এবং ভিটামিন বি এর ভাল উত্‍স হওয়ায় কুমড়ার বীজ শরীরের যেকোন অংশকে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। এসব ফ্রি রেডিকেল শরীরের সেল, প্রোটিণ এবং ডিএনএ’র ক্ষতি করে। এছাড়া যেকোন ধরনের টিউমার , সংক্রমণ এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্যও এসব ফ্রি রেডিকেল দায়ী। কুমড়ার বীজের মতো এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ খাবার খেলে এসব ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করে শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী রাখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!