Home » “বনি” প্রসঙ্গে মৌপিয়া কে ধুয়ে দিলেন অরিত্র দত্ত বনিক।

“বনি” প্রসঙ্গে মৌপিয়া কে ধুয়ে দিলেন অরিত্র দত্ত বনিক।

ইষ্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স্ অ‍্যাসোসিয়েশন এর বর্তমান সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তের ( স্বর্গীয় অভিনেতা সুখেন দাসের কন‍্যা ) পুত্র, টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত এখন সংবাদের শিরোনামে। নিয়োগ দূর্নীতি কান্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ব‍্যাঙ্ক নথি থেকে পাওয়া যায় বনি সেনগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর নাম। ইডি বাকিদের নাম প্রকাশ‍্যে না আনলেও বনি সেনগুপ্ত কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কুন্তল ঘোষ কি কারনে বনি সেনগুপ্ত কে  ৪০ লক্ষ‍্য টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করায় বনি ইডির আধিকারিক ও সংবাদ মাধ‍্যম কে জানান – কুন্তল ঘোষ একটি বাংলা সিনেমা করবেন বলেছিলেন যা পরবর্তীকালে করেননি। সেই সময় বনি একটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন‍্য টাকা কম পড়ায় কুন্তল ঘোষ সেই টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

বনির এই বক্তব্যে সংবাদ মাধ্যম থেকে রাজনৈতিক মহল ও টলি কলাকুশলীদের মধ‍্য শুরু হয় নানান বিতর্ক। এরই মধ‍্য আজ কিছুক্ষন আগে একটি বিখ‍্যাত বেসরকারী সংবাদ চ‍্যানেলের শীর্ষ আধিকারিক ও বিখ্যাত সাংবাদিক মৌপিয়া নন্দী বনি কে নিয়ে সামাজিক মাধ‍্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পোষ্ট করে বলেন – ইডি টিডি নাহয় ছেড়েই দিলাম। এই যে পরের পয়সায় গাড়ি কিনে ফুর্তি করছিল এতেই এদের লজ্জা করেনা? এরপরেও রিলস টিলস বানায় কতটা মোটা চামড়া হলে! একটা সিনেমার নামও তো জানতাম না ইডি ডাকার আগে।

এর পরেই অরিত্র দত্ত বনিক মৌপিয়া কে একে বারে ধুয়ে দিয়ে পোষ্ট করলেন – খুব খারাপ লাগে এরকম সাংবাদিকের স্টেটমেন্ট এলে। আমি একাধিক লিংক দিয়ে দিতে পারি যেখানে ওনারা এইধরনের রিল-সেলিব্রিটিদের এমনকি “ফ্লপ হিরো” বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে খবর করেছে। তখন এতো কথা কোথায় থাকে? এন্টারটেইনমেন্ট সেকশনে এতো সাংবাদিক বসিয়ে রেখেছেন তাও আজ অব্দি একটা BBC বা NY Times স্তরের ইনভেস্টিগেশন জারনালিজম দেখতে পাইনা। ওনার লিডারশীপে থাকা চ্যানেলেই লাইমলাইট বলে শো’ শুরু করা হয়েছিল সেখানে এই ফিল্মের লোকেদের এনে নানা কথা বলা হতো। টি আরপি ঝাড় হয়েছে আবার সরিয়ে দিয়েছে। সুদীপ্ত সেনের পয়সায় যখন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হতো তখন গ্র‍্যান্ড হোটেলের ওবেরয় বলরুমের নৈশভোজে আপনাদের সিনিয়ার সাংবাদিকরা যেতেন, তখন আপনাদের মোটা চামড়ার কথা মনে পড়েনি, আপনারা যখন শ্রাবন্তীর কতুটুকু বুক দেখা গেলো সেই নিয়ে চটুল খবর করে টি আর পি বাড়ানোর কথা ভাবেন তখন চামড়ার ঘনত্বটা মাথায় থাকেনা। বনি সেনগুপ্তর মাকে যখন রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটা উঁচু চেয়ারে বসানো হয় তখন সাংবাদিকদের চামড়াটা মোটা থাকেনা। আসলে বাংলার সাংবাদিকরা আর আগের মতো নাই। এঁরা কোনোরকমভাবে কিছু চ্যানেল চালায় মাত্র। রাজনৈতিক কালো টাকাতে ফুর্তি আপনারাও করেছেন, হেলিকপ্টার চড়ে বাংলার নামকরা সাংবাদিকরা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ননস্টপ ইলেকশন কভারেজ দিয়েছেন। পুশ করেছেন, আজ যেই না এই দলটির কেচ্ছা জনগণ জেনেছে ওমনি সাংবাদিকরা সব সততার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই ধরনের ভন্ডামি দেখলে রাগ হয়, ঘৃণা হয়। শেষ লাইনে যে লিখেছেন কোনো সিনেমার নাম জানতেননা, আসলে সব জানতেন, সব কেচ্ছা ওঁদের হাতেই থাকে শুধু সুযোগ খোজে প্রপার টাইমিং এর কারণ পিঠ বাচিয়ে ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে হবে তো!

এখনো মৌপিয়া এই নিয়ে কোন বক্তব্য পেশ করেননি। তবে তর্ক আর বিতর্কের মাঝে কিন্তু নাম কুড়োচ্ছেন বনি সেনগুপ্তই যা কেউ কোন দিন অপরিচিত বলতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!