চীনের সামরিক প্রযুক্তির ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে এক নতুন অস্ত্র—‘মশা ড্রোন’। এটি দেখতে একেবারে সাধারণ মশার মতো হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে আধুনিক সেন্সর, ক্যামেরা এবং রিমোট কন্ট্রোলড মডিউল। নজরদারি, গোয়েন্দাগিরি কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে হামলা চালানোর মতো বিপজ্জনক কাজেও সক্ষম এই ক্ষুদ্র ডিভাইসটি।
কোথা থেকে তৈরি হল এই প্রযুক্তি?

চীনের National University of Defence Technology (NUDT)–এর গবেষক দল এই বিশেষ ড্রোনটি তৈরি করেছে। নির্মাতারা জানাচ্ছেন, এটি বিশেষভাবে battlefield surveillance, disaster rescue, এমনকি spy missions-এ ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই ড্রোনটির ওজন মাত্র ০.৩ গ্রাম, এবং দৈর্ঘ্য ১.৩ সেন্টিমিটার। এর দু’টি ডানা আছে যা পাখার মতো কাজ করে, এবং তাতে রয়েছে হালকা শক্তিশালী প্রপেলার।
🔍 কী রয়েছে এই মশা ড্রোনের ভিতরে?
)
- ✅ মিনি ক্যামেরা – যা ছবি তুলতে ও ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম
- ✅ অডিও রেকর্ডার ও সেন্সর – চারপাশের শব্দ সংগ্রহে পারদর্শী
- ✅ স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রিত রিমোট টেকনোলজি
- ✅ নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর দিকে নিজে থেকেই চলতে পারে
⚠️ আশঙ্কার দিকও রয়েছে!

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তি যেমন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে, তেমনি এর অপব্যবহারও হতে পারে ভয়ানক। যেমন:
- ❗ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন
- ❗ বায়োটেক সন্ত্রাসে ব্যবহার
- ❗ দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র বা সংগঠনের হাতে পড়লে বিপদ আরও বেড়ে যাবে
এছাড়া এটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে এর উপস্থিতি টের পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
🌍 বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব
চীন ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে মাইক্রো ড্রোন প্রযুক্তিতে কাজ করছে। বিশ্ব গোয়েন্দা প্রতিযোগিতা-তে এই প্রযুক্তি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। পশ্চিমা দেশগুলো এখন এই প্রযুক্তির প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চীনের এই ‘মশা ড্রোন’ আধুনিক প্রযুক্তির এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, তবে এর যথাযথ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত না হলে এটি মানুষের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য এক ভয়ঙ্কর হুমকি হয়ে উঠতে পারে।