❝নিরীহ খেলনা না কি মেসোপটেমিয়ার ডেমন? সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে Labubu নিয়ে ভয়ঙ্কর গুজব!❞

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে চীনের ডিজাইনার টয় কোম্পানি Pop Mart-এর তৈরি লাবুবু পুতুল আচমকাই হয়ে উঠল বিশ্বের অন্যতম ভাইরাল কালেক্টিবল খেলনা। কিউট, ছোট্ট, দাঁত বের করা এই অদ্ভুত সুন্দর পুতুল হঠাৎই রীতিমতো কাল্ট ফিগারে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও, মিম এবং থিওরি দাবি করছে—এটি আদতে এক প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান ডেমন ‘Pazuzu’র আধুনিক রূপ!

কেউ বলছে এই পুতুল ঘরে আনার পর থেকেই শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্ন, কেউ বা জানাচ্ছেন শিশুদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন এসেছে। এমনকি Middle East-এর কিছু দেশ লাবুবু নিষিদ্ধও করেছে! তাহলে কি সত্যিই Labubu পুতুলে বাস করছে অশুভ শক্তি?
আসল সত্য কী?
সত্যি বলতে, এই বিতর্কের কোনও ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। Labubu চরিত্রটি এসেছে হংকং-বেলজিয়ান শিল্পী Kasing Lung-এর কল্পিত শিশু গল্প The Monsters থেকে। Pop Mart-এর সঙ্গে পার্টনারশিপে এটি ২০১৯ সালে বাজারে আসে এবং ধীরে ধীরে হাই‑এন্ড কালেক্টর আইটেমে পরিণত হয়।

The Simpsons-এর একটি পুরোনো ক্লিপ, Pazuzu নামক ডেমন, TikTok রিউমার ও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড এই গুজবকে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবে Pazuzu-র সঙ্গে Labubu-র কোনও যোগ নেই—না ডিজাইনে, না ন্যারেটিভে।
লাবুবু পুতুলের বাজার দখল
- Pop Mart-এর লাভ বেড়েছে ৩৫০%।
- ব্লাইন্ড বক্স সংস্কৃতির জন্য এটি হয়ে উঠেছে ইচ্ছের পণ্য।
- রিহানা, লিসা (BLACKPINK), কিম কার্দাশিয়ান সহ বহু সেলিব্রিটি Labubu কালেক্টর।
সামাজিক মাধ্যমে আতঙ্কিত দের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ার ভয় ও গুজবের ট্রেন্ডই লাবুবু পুতুলকে ঘিরে “demonic possession”, “evil eyes”, “haunted toy” এমন শব্দে ঢেকে দিয়েছে।
বিশিষ্ট প্যারানরমাল রিসার্চর ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের মতে

আপনারা অনেকেই আজ কাল এই পুতুলটি দেখেছেন নানা সোস্যাল মিডিয়া তে হঠাৎ করে যা ট্রেন্ডে বলে রাখি কোনো ব্যবসায়িক জিনিস এমনি ট্রেন্ডে আসে না যেমন কিছুদিন আগেই বলেছিলাম কাচের গ্লাসে হলুদ গুঁড়ো জলে মিশিয়ে যেটি শুরু হয়েছিলো সেটি যেমন তান্ত্রিক প্রক্রিয়া সেটা বন্ধ হওয়ার দরকার ছিলো, তেমনি বেশ কিছুদিন ধরে এই ” লাবুবু” পুতুল নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পাই!!!!পপ স্মার্ট বলে একটি কোম্পানি 2015 সালে পুতুল টি লঞ্চ করলেও হঠাৎ এই মাস খানেক ধরে ট্রেন্ডে আসে কারণ পপ গায়িকা রিহানা তার ব্যাগে এটি ঝোলান যার পর কোম্পানি 1.5মিলিয়ন ব্যাবসা করে রাতারাতি, সবই ঠিক কিন্তু আরেকটু পুতুল টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে যা পাই সেটি দেখে আমার টনক নড়ে মেসপটেমিয়ন দ্বৈত ” পাঁজুজু” র লুকস ও মুদ্রার সাথে মিল রয়েছে যা myathology ( মিসোপোটেমিয়ান) অনুযায়ী কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক এর দেবতা!!!
আমার প্রশ্ন হলো তাহলে কি এটি কোনো সিক্রেট সোসাইটির কাজ?
হঠাৎ করে একটি 5 বছরের পুরোনো প্রজেক্ট রাতা রাতি এরকম স্পট লাইটে চলে আসার কারণ কি? সাধারণ মানুষের মধ্যে কেনই বা এমন ট্রেন্ড শুরু করলো কারা বা কে? আমার গবেষণা অনুযায়ী বাচ্চারা ও টিন এজ মেয়েরা কেনো পাগল হয়ে যাচ্ছে এটি কেনার জন্য?
তাহলে কি এটিও কোনো ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রক্রিয়া যাতে বেশি বেশি সংখ্যক মানুষ সেই কালো শক্তির পূজারী হয়ে উঠুক তার জন্য?