১১ই জুলাই, ২০২৫ — মালয়েশিয়ায় আয়োজিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (UNGA) অধিবেশনে ফের ভারতের প্রতিনিধিত্ব করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও কূটনীতিবিদ অ্যাডভোকেট মিতা ব্যানার্জি। তিনি তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণে প্রমাণ করে দিলেন, “ভারতকে যেভাবে আমি উপস্থাপন করি, সেভাবে আর কেউ পারে না।”
অ্যাসেম্বলির কক্ষজুড়ে নানা দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে মিতা ব্যানার্জি বললেন—

“I represent India. The name is enough for introduction.”
(“আমি ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করি। এই নামটুকুই যথেষ্ট আমার পরিচয়ের জন্য।”)
এই বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিমা আর চেতনাময় ব্যক্তিত্ব, গোটা মঞ্চকে অভিভূত করে তোলে।
তিনি আরও বলেন—
“We Indians believe heart over head.”
(“আমরা ভারতীয়রা যুক্তির চেয়ে হৃদয়ের ওপর বিশ্বাস রাখি।”)
মিষ্টির মাধ্যমে বন্ধুত্ব, এবং সীমারেখার ইঙ্গিত:
ভারত থেকে নিজে হাতে আনা মিষ্টি বিতরণ করতে করতে তিনি বলেন—
“হৈ প্রীত যেখানে রীত সदा, আমি তার কথা বলি। ভারতবাসিনী আমি, ভারতের কথা বলি।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ভারত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আদর্শে বিশ্বাসী। “One World, One Family”—এই ধারণার সূচনা ভারতেই হয়েছিল।

কূটনৈতিক শার্পনেসের পরিচয়:
সাবলীলতা এবং অভিজাত কূটনৈতিক দক্ষতার এক নজির দেখা গেল পাকিস্তানের কূটনীতিকদের দিকে মিষ্টি বাড়িয়ে তিনি বলেন:
“আমরা আপনাদের মিষ্টি দিতে পারি, কিন্তু জল নয়।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশি কূটনীতিকরা তাঁকে মিষ্টি খাওয়াতে চাইলে, দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে মিতা ব্যানার্জি বলেন—
“আপনারা আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন, আমরা তা ভুলিনি। এটাই যথেষ্ট আমাদের সীমা অতিক্রম করে আপনাদের জবাব দেওয়ার জন্য।”
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে তাঁর স্পষ্ট বার্তা—প্রীতি থাক, কিন্তু আত্মসম্মানে আঘাত নয়।
একজন আন্তর্জাতিক স্তরে দাঁড়িয়ে দেশের গর্ব হয়ে ওঠা নারী, যাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভারতীয় চেতনাকে ঘিরে সাহস, অহংকার ও হৃদয়ের মেলবন্ধন। অ্যাডভোকেট মিতা ব্যানার্জি কেবল একজন আইনজীবী নন, তিনি আজ ভারতের কূটনৈতিক কণ্ঠস্বরের প্রতীক।
তাঁর মতো দেশপ্রেমিক এবং নির্ভীক কূটনীতিককে জাতি অবশ্যই কুর্নিশ জানাবে।