বৃটিশ ভারতে, ১৯৪১ সালে মধ‍্য হাওড়ার খুরুট ষষ্টীতলায় জন্মগ্রহন করেছিলেন বাংলার এই প্রখ‍্যাত সাহিত‍্যিক। থাকতেন হাওড়ার রামরাজা তলা এলাকায়।  ছোট থেকেই ছিল ভ্রমন ও লেখালিখির প্রতি ঝোঁক তাই সেই লেখালিখি নেশা তাকে ১৯৬১ প্রথম সাফল্য এনে দেয়। আনন্দ বাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে যুক্ত হন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়।

১৯৮১ সালে তাঁর লেখা “পান্ডব গোয়েন্দা “র জনপ্রিয়তা তাকে এনেদেয় খ‍্যাতি ও পরিচিতি। তাঁরলেখা বেশকিছু গল্প নিয়ে তৈরী হয়েছিল কার্টুন বা অ‍্যানিমেশন সিরিজ ও সিরিয়াল। তার লেখা গুলির মধ‍্যে পান্ডব গোয়েন্দা, প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ‍্যাটার্জী, কিশোর গোয়েন্দা তাতার ছিল ভীষন জনপ্রিয়।

এছাড়াও তার প্রকাশিত “চতুর্থ স্তম্ভ” “সোনার গনপতি হীরের চোখ” “কাকাহিগড় অভিযান” “সেরা রহস‍্য পঁচিশ ” “রহস‍্য রজনীগান্ধার” “দেবদাসী তীর্থ ” “কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত‍্য” “কেদারনাথ” “হিমালয়ের নয় দেবী” – এসবই ছিল ভীষন রকমের জনপ্রিয়। ২০১৭ সালে, শিশু সাহিত্যে তার এই অবদানের জন‍্য তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার – পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত করেন।

বাংলা সাহিত্যের এই নক্ষত্র পতনে, বাংলা সাহিত্য জগত হারালো এক মহীরুহ অভিভাবক কে। আজ শোকের ছায়া সাহিত্যপ্রিয় বাঙালির হৃদয় জুড়ে।