মধ্য ৩০ এর সময় থেকে মধ্য ৭০ এর সময়, বাঙলা গানের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত। এই সময়টা যাই সৃষ্টি হয়েছে প্রায় সবই সোনা। একদিকে যেমন গায়ক, যেমন সুরকার, তেমনি গীতিকার। সব কিছুতেই যেন ছিল আকাশ ছোঁয়া সাফল্য। ভক্তিগীতি, ফিল্মের গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদের গান, দ্বিজেন্দ্রগীতির বাইরেও একটা বিরাট বড় গানের জগতের সূচনা হয়েছিল। ১৯৩৪ এ গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে যে ৭৮ আরপিএম এর রেকর্ড বের হয়েছিল সেই প্রথম আধুনিক গান।
আজ সময় বদলেছে, কিন্তু স্মৃতি ফিকে হয়নি, সময়ের বহমানতায় স্বর্ণযুগের গান প্রতিদিন নতুন রূপে ধরা দিয়েছে, আমাদের মনকে আবিষ্ট করেছে। গত ৯ই সেপ্টেম্বর, আইসিসিআর অডিটরিয়ামে স্বর্ণযুগের কিছু কালজয়ী গান সঙ্গে সমকালীন বাংলা কবিতায় এক সেতু বাঁধা হলো, ‘ অনেক দিনের আমার যে গান ‘ শীর্ষক অনুষ্ঠানে। গানে সোমদত্তা ব্যানার্জী, সমিক পাল এবং কবিতায় মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়। সোমদত্তার কন্ঠে চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়, মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা, শমীকের কন্ঠে এত সুর আর এতো গান, শোনো কোনো একদিন, দ্বৈতকন্ঠে গাওয়া কে যেন গো ডেকেছে আমায়, নীড় ছোটো ক্ষতি নেই বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য।যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে বাঁশিতে সৌম্যজ্যোতি ঘোষ, কী বোর্ডে সঞ্জীব দেব, তবলায় সুভাষ পাল, গীটারে ঋত্বিক মিত্র, আক্টোপ্যাডে লিটু দাস সঙ্গত করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন শ্যাম সরকার।