জীবনের দীর্ঘতম কর্মজীবনের পর আসে অবসর জীবন।। যদিও শুধু মাত্র সরকারী বেতন ভোগী মানুষের কাছেই এটা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য। তবে সব সরকারী চাকরি সুখের হয়না। সরকারী চাকরি মানেই যে ন’ টা পাঁচ টা ডিউটি হবে, শনি রবি ছুটি তা সবার ক্ষেত্রে জোটে না। ঠিক যেমন পুলিশের চাকরি ।
সাধারণ মানুষ তাদের যাবতীয় আপদ বিপদ অসুবিধার দায় ঠেলে দেন বা বলা ভালো পুলিশ নিজের কাঁধে তুলে নেয়। নির্ধারিত সময় অবধি ডিউটি হলেও নিস্তার নেই, প্রায় চব্বিশ ঘন্টাই ডিউটিরত থাকতে হয় । চাকরি জীবন শুরুর আগেই ট্রেনিং পিরিয়ডেই আত্ম বলিদানের শপথ পাঠ করিয়ে নেওয়া হয় ফলত নিজের যাবতীয় সুখ সাচ্ছন্দ বলে আর কিছুই থাকে না। শনি রবি তো দূর অস্ত বাঙালির সেরা উৎসব শারদ উৎসবেও থাকে না একদিনের ছুটি। মূলত সাধারণ মানুষের ছুটি বা উৎসবের দিন গুলিতে কাজের দায়িত্ব থাকে সাধারণ দিনের থেকেও বেশী। এমনকি নিজের স্ত্রী সন্তান দেরকেও সঠিক ভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারেননা এই পুলিশ বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু নির্ধারিত সময় বা বয়স অতিক্রান্ত হবার পরেই আসে অবসর জীবন।
কিন্তু এত দায় দায়িত্ব কাঁধে বহন করার পরেও প্রকারন্তরে জোটে নানান কটাক্ষ । একমাত্র এই পুলিশ বিভাগ যাদের নেই কোন কর্মবিরতি বা হরতাল করার অধিকার। যারা এক মিনিটের জন্য কর্মবিরতি ডাকলে গোটা শহরের শান্তি ভঙ্গ হবে। তাদের কথা কজন ভাবে ?
বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি এস পি, শ্রী শান্তনু কোয়ার আজ দীর্ঘ কমজীবনের পর অবসর নিতে চলেছেন। বিধান নগর কমিশনারেটের যাবতীয় প্রসাশনিক দায়িত্বের প্রধান মুখ ছিলেন শ্রী শান্তনু কোয়ার । অবসর নেবার আগের দিনেও বইমেলা প্রাঙ্গনে তাকে দেখা গেল ডিউটিরত অবস্থায় । কি জানালেন তার অবসর জীবন নিয়ে? রইলো তার সাক্ষাৎকার