কোভিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য গত সপ্তাহেই একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন এবং দেশের প্রতিটি রাজ্যে কে সতর্ক থাকার কথা অবেদন করেছিলেন।
নতুন করে করোনা সংক্রমন বাড়ার জন্যই আজ থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্টান গুলিতে নতুন করে করোনা মোকাবিলার মকড্রিল শুরু হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি আলোচনা সভায় রাজ্যের প্রতিটি স্বাস্থ্য দফতর কে নতুন করে করোনা সংক্রমন বিষয়ে অবগত করার সাথে সাথে দেশ ও রাজ্যবাসীর সুরক্ষা জন্য চরম প্রস্তুতি নিতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনার নতুন প্রজাতির ভাইরাস কে আটকাতে আমরা পাঁচটি পদক্ষেপ নেব। যথাক্রমে পরীক্ষা বা করোনা নির্ধারণ, অনুসরন বা রোগীর আগমন স্থল জানা, চিকিৎসা, টিকা বা ভ্যাকসিন প্রতিষেধক প্রদান ও কোভিড আচরন মেনে চলা অর্থাৎ বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া সাথে মাস্কব্যাবহার। যা সাম্প্রতিক কালে মানুষ আবারও ভুলতে চলেছে।
মনসুখ মান্ডব্য আরো জানান, দেশবাসী নিশ্চিন্তে থাতে পারেন কারন আমরা বর্তমান করোনার বাড়বাড়ন্ত অনুযায়ী দেশজুড়ে প্রচুর পরিমানে আই সি ইউ বেড, অক্সিজেন ও অন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যাবস্থা ইতিমধ্যেই ব্যাবস্থা করে রাখছি।
সম্ভবত করোনা মহামারীর চতুর্থ ঢেউ নিয়ে তিনি বলেন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোভিডের BF-7 এর পরেই তার সাব ভ্যারিয়ন্ট আসে অমিক্রন। এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট XBB1.16 যাতে সংক্রমিত হতে পারেন বহুমানুষ। যদিও এই ভ্যারিয়েন্ট টি খুব একটা সাঙ্ঘাতিক নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হবার খবরের সাথে সাথেই বেশ কিছু রাজ্য করোনা সতর্কতা জারি করা হয়। হরিয়ানা ও পদুচেরীতে জনসমক্ষে মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেরালায় গর্ভবতী নারী ও বার্ধক্য জনিত অসুস্থ দের মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে করোনা সতর্কতা জারি করার সাথে সাথে করোনা নির্ধারণ বা টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।