বদলে যাচ্ছে কলকাতা। বদলে যাচ্ছে তার পরম্পরাগত প্রতিকী গুলো। সকলের অগোচরে ঘটে যাচ্ছে এই পরিবর্তন গুলো। আমরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করছি না। এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের রোজকার চেনা বাঙালিয়ানা।
দৈনন্দিন চেহারাটার আমুল পরিবর্তন এখন বেশ লক্ষনীয়।

বাঙালির পোষাক আসাক থেকে খাওয়া দাওয়া বদলেছে। বেশ কিছু বছর ধরে দেখা যাচ্ছে – বাঙালির বাঙলা ভাষাতেও অনিহা। ভাবতে অবাক লাগে বাংলায় বাঙলা ভাষা নিয়ে এখন নতুন করে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

মিষ্টি প্রিয় এই কলকাতা শহরের মিষ্টির দোকানে গেলে এখন যেসব মিষ্টি দেখতে পাওয়া যায় তার অর্ধেক অচেনা। হারিয়েছে দানাদার, হাস সন্দেশ, নিকুতি, চানার মুড়কি, মালপোয়া ইত‍্যাদি। অবাক লাগে রসগোল্লার রাজধানীতে এখন নতুন ধরনের রসগোল্লা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে নতুন প্রজন্মের কাছে ব‍্যাবসা ধরে রাখার জন‍্য।


এখানেই শেষ নয়। কলকাতা শহর কে যানবাহনের প্রতিকী দিয়ে বোঝাতে গেলে আগে ট্রাম কেই তার প্রতিকী হিসাবে ব‍্যাবহার করা হত, কিন্তু এখন সেই ট্রাম অবলুপ্তির পথে। শুধুমাত্র কলকাতা ময়দানেই এই ঐতিহ্যবাহী ট্রাম কে দেখতে পাওয়া যায়। এখন এই প্রতিকী ট্রাম কেও দেখানো হচ্ছে না। এখন কলকাতা মানেই হলুদ ট‍্যাক্সি।

 

 

বিগত বছরে বেশ কিছু বলিউড বা দক্ষিনী ছবির শুটিং তথা তাদের প্রচারাভিযানেও বারংবার ব‍্যাবহার হয়েছে এই হলুদ ট‍্যাক্সি।শুধু চলচ্চিত্রের প্রচারেই নয়। বেশ কিছু দৃশ‍্যায়নেও এই হলুদ ট‍্যাক্সি কে দেখানো হচ্ছে কলকাতা শহর কে অনুভব করানোর জন‍্য।

যদিও কলকাতায় এই হলুদ ট‍্যাক্সি এক সময় লাক্সারি বা আভিজাত্যের প্রতিক ছিল যা পরবর্তীকালে তাদের অতিরিক্ত দূর্ব‍্যবহার এবং রিফিউজালের কারনে ব‍্যাবসা ফেঁদে বসে ওলা বা উবেরের মত বহুজাতিক ট‍্যাক্সি সার্ভিস সংস্থা। তাই এই হলুদ ট‍্যাক্সি এখন অনেকাংশেই অবলুপ্তির পথে।

তাহলে কি ট্রামের সাথে সাথে সময়ের গহ্বরে হারিয়ে যাবে এই ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট‍্যাক্সিও? তিলোত্তমা কলকাতা কি হারাবে তার সব ঐতিহ্যবাহী প্রতিকী গুলো?