বাবা ঋষি কাপুর ছিলেন একেবারেই ভিন্ন মানসিকতার। পাজ্ঞাবী পরিবার হলেও মুম্বাইের পারিবারিক অনুষ্ঠান গুলির মধ্যে কাপুর পরিবারে গনেশ উৎসব পালিত হয় যাবতীয় হিন্দু রীতি মেনেই কিন্তু খাবারের সময় সেখানে কোন ধর্মের অনুশাষন মানতেন না ঋষি কাপুর। হিন্দু ধর্মে গো- মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ এবং একদা ভারতীয় জনতা দলের গো-মাংস নিষিদ্ধ করার বিষয় যথেষ্ট প্রতিবাদ করেছিলেন এই বিখ্যাত অভিনেতা কারন তিনি হিন্দু হয়েও নিজেই গো-মাংস খেতে পছন্দ করতেন।
সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে গত ২৫শে ডিসেম্বর, বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে একটি হোটেলে সস্ত্রীক সপরিবারে গিয়েছিলেন ঋষি পুত্র রনবীর কাপুর। বড়দিন উদযাপন করতে তিনি তার টেবিলে একটি কেক এর ওপর মদ ঢালার আদেশ দেন হোটেলের খাবার পরিবেশক কে, পরিবেশক সেই অনুযায়ী কেক এর ওপর মদ ঢেলে দেবার পরেই সেই কেক এ রনবীর অগ্নিসংযোগ করেন এবং “জয় মাতা দি” বলে ওঠেন। এই ভিডিও টিই ভাইরাল হয়।
আর এই ভিডিও ভাইরাল হবার সাথে সাথেই দেশের কট্টর হিন্দুধর্মের বেশ কিছু মানুষ রনবীর কাপুরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তারা সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও শেয়ার করে দেশের সমগ্র হিন্দু পিঠস্থানে রনবীর কাপুরের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে আবেদন করেন সাথে তারা এও দাবী করেন রনবীর কাপুর কোন হিন্দু পীঠস্থানে তার ফিল্মের কোন প্রচারমূলক অনুষ্ঠান না করতে পারেন।
হিন্দু ধর্মে “জয় মাতা দি” অর্থাৎ সন্তোষী মাতা বা মা দুর্গার রুপ। কোটি কোটি হিন্দু ধর্মের মানুষ মা সন্তোষী বা মা দুর্গার আরাধনা করে থাকেন ভক্তি ভরে। রনবীর কাপুর কেক এ অগ্নিসংযোগ করার সময় “জয় মাতাদি” উচ্চারন করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। একাংশের দাবী রনবীর কাপুর কেক এ অগ্নিসংযোগ করার সময় কেন “জয় মাতাদি”-র পরিবর্তে “ইয়া আল্লাহ” বা যিশুর নাম উচ্চারণ করলেন না?
This is how Bollywood actors like Ranbir Kapoor defame our deities. Why Jai Mata Di during alcohol dip on cake during Christmas?
— JyotiKarma🚩🇮🇳 (@JyotiKarma7) December 26, 2023
Why not Praise the Lord Jezus or Ya Alla? pic.twitter.com/J9UW5bKBPU
এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম উত্তাল হলেও, ঋষি পুত্র রনবীর কাপুর এ নিয়ে কোন মতামত এখনও দেননি। হিন্দি ভাষায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে… বাপ কা বেটা, সিপাহী কা ঘোড়া। কুছ নেহী তো থোড়া থোড়া।