আজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ভোরে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে এই কম্পন শুরু হয় এবং প্রায় এক মিনিট ধরে স্থায়ী হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল, যেখানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.১। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং চীনের কিছু অংশেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হওয়ার সাথে সাথেই আতঙ্কিত মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন। অনেকেই জানান, ঘরের ফ্যান, লাইট এবং অন্যান্য ঝুলন্ত বস্তু দুলতে শুরু করে। সৌভাগ্যবশত, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

নেপালে এই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯,০০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে, এবারের ভূমিকম্পেও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ মিটার করে সরছে, যা হিমালয়ের নিচে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করছে এবং মাঝে মাঝে এই সঞ্চিত শক্তি ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কলকাতা সিসমিক জোন ৪-এ অবস্থিত, যা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তাই ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।
সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ও সচেতনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সকলের উচিত ভূমিকম্পের সময় করণীয় সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা।