বাঁকুড়া ঃ আজ শনিবার ধন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে সমগ্র হিন্দু বাঙালি। হিন্দু সনাতন ধর্মীদের মতে মা লক্ষ্মী হলেন ভাগ্য আর অর্থের দেবী। এ বঙ্গে অনেকবার লক্ষ্মীপূজো হয়। দূর্গা পূজার পর যে লক্ষ্মী পূজা হয় তাকে বলা হয় কোজাগরি লক্ষ্মী পূজা। কোজাগরী পূর্ণিমায় সারারাত জেগে দেবীর আরাধনা করা হয়। এটাই রীতি। লক্ষ্মী শব্দটি শুধু প্রতিমা অর্থই ব্যবহৃত হয় না। গুণ সম্পূর্ণা, গৃহ কার্য নিপুণতা গৃহবধূদের ও গৃহ লক্ষী বলা । এটা মৃন্ময়ী মায়ের চিন্ময়ী রূপ।
কিন্তু এই চিন্ময়ী গৃহলক্ষীর অবস্থা বেশ করুণ। “অনেকগুলি পেট বাড়িতে, দু মুঠো খাবার জোগাড় করতে তাই প্রতিদিন সকাল হলেই কাজের জন্য তাকে বেরিয়ে পড়তে হয়। পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় ঘরের লক্ষীকে।… “ওরা কাজ করে মাঠে- ঘাটে, নগরে বন্দরে”। সংসারে সচ্ছলতা আনতে উদয় আস্ত গতর খাটাতে হয়। সেই করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে আমাদের প্রতিনিধি দেবজিৎ দত্ত ক্যামেরায়। পাহাড় প্রমাণ সাংসারিক চাপ মাথার উপর।
যেমন ধরুন পূর্ণিমা বাগদী। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে স্বামী চলে গেছেন পরপারে। এখন সংসদের সব দায়-দায়িত্ব তার। বাড়িতে আছেন শাশুড়ি মা, ১২ বছরের এক পুত্র, ১৬ বছরের কন্যা সুরমা। অনেকগুলি পেট বাড়িতে। সকলের পেটের ভাত জোগানো আর একাদশ শ্রেণীতে পাঠরতা মেয়ে সুরমার পড়াশুনার খরচ যোগানো সবই তাকে একা হাতে করতে হয়। মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরের যাবতীয় কাজ করে। আর পূর্ণিমা বাগদি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ রোজগার করেন। এই ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার বড় গোবিন্দপুর গ্রামের। চলুন না একবার সবাই মিলে ওই পূর্ণিমা বাগদী নামে লক্ষ্মীর পাশে গিয়ে আমরা সবাই মিলে দাঁড়াই।