সামাজিক মাধ্যমে আবারও ভাইরাল হল, বরানগরের কালিতলা লেনের বাসিন্দা তথা কলকাতার উঠতি মডেল ফটোগ্রাফার ও মেকাপ আর্টিস্টদের তথাকথিত প্রোমোটার ও AITAA – র প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত দাশগুপ্ত ওরফে জেডিবাবার কেলেঙ্কারি। ইতিমধ্যেই বরানগরের কালিতলা লেনের বাসিন্দা জয়ন্ত দাশগুপ্ত ওরফে জেডিবুড়ো পুলিশের হেফাজতে আছেন আর্থিক প্রতারনার দায়ে।
বিস্ফোরোক ভাইরাল ভিডিও তে একজন নয়, একাধিক মহিলা সামাজিক মাধ্যমে লাইভে এসে জানালেন তাদের সাথে জেডিবাবা বা জয়ন্ত দাশগুপ্ত কিভাবে শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহ করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন। যা শুনলে অনেকেরই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে পারে। প্রায় দেড় ঘন্টার এই লাইভ ভিডিও টির সারসংক্ষেপ করলেও তা পুরানের কাহিনীসম দৈর্ঘ্যের বলেই মনে হবে। ইন্টারনেটের এই 5g যুগে গ্ল্যামার জগতের লাইম লাইটের আলোয় গা ভাসাতে চলে আসেন প্রায় অনেকেই। নবাগত মডেল, ফটোগ্রাফার ও মেকাপ আর্টিস্ট দের একত্রিত করে এক সাথে কাজ করে এগিয়ে যাবার বা উন্নতি করার পথ প্রদর্শক হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত বা জেডিবুড়ো। বিস্বাস অর্জনের জন্য সবার কাছে নিজেকে “বাবা” অর্থাৎ পিতা হিসাবে তুলে ধরলেও তিনি আসলেই ছিলেন “কামদেব বাবা”। তার এই পৈশাচিক রুপের কথাই তুলে ধরেছেন কিছু মহিলা এই ভিডিওতে।
কখনও হঠাৎ করেই কোন মহিলা মডেলের বাড়িতে গিয়ে, আবার কখনও নিজের বাড়িতে সাক্ষাতের নামে ডেকে নিজের ঘরে বা পার্শ্ববর্তী ফ্ল্যাটে তাদের কে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন বা ধর্ষন করতেন। নিজেকে কামবাসনার দেবতা বলতে নাকি তার বিন্দুমাত্র সঙ্কোচবোধ হতনা। এসব কিছুই নাকি তার স্ত্রী রুমা দাশগুপ্ত জানতেন ও সমর্থন করতেন। এই ভিডিওতে জানা যাচ্ছে জয়ন্ত দাশগুপ্ত নিজের মেয়ের শরীর নিয়েও ছিল কুরুচিপূর্ণ চিন্তা ভাবনা। এখানেই শেষ নয়, জয়ন্ত দাশগুপ্ত চাইতেন তার ছেলেও একই ভাবে বহু নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হোক।
শোনা যাচ্ছে, জয়ন্ত দাশগুপ্ত কিছু বছর আগে তার কেবল টিভি ব্যাবসা ও বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ চালাতেন হুকিং করে। সিইএসসি কতৃপক্ষের সাথেও বেশকিছু লক্ষ্যাধিক টাকার বিবাদ আগে থেকেই রয়েছে।
যদিও সমাজকর্মী আত্মজ্যোতি মিত্র অর্থাৎ যিনি এই লাইভ ভিডিও টি করেছিলেন তিনি বেশ কিছু উঠতি মহিলা মডেলের দিকেও অভিযোগ তুলেছেন। আত্মজ্যোতি বাবুর অভিযোগ, বেশ কিছু মডেল যাদের নাম তিনি প্রকাশ্যে বলতে চান না, তারা অনেকেই শর্টকাটে প্রচারের আলোয় আসতে জয়ন্ত দাশগুপ্তের সাথে শারীরিক সম্পর্কে স্বেচ্ছায় যেতেন এবং তারাই জয়ন্ত দাশগুপ্ত বা জেডিবুড়ো কে এই সব অনৈতিক কাজে উৎসাহ দিতেন।
আপনাদের জন্য রইলো সেই অসম্পাদিত ভিডিও টি। লিঙ্ক সহ। আপনাদের অনুরোধ আপনারা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করতে ভুলবেন না।