আপাতত সোস্যাল মিডিয়ায় ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ এ খবর। কাল সকালেই শহরের পতম সারির খবরের কাগজ দূঃখ বাজার আর অসময় পত্রিকা তে ফলাও করে বেরোবে ২০২৪ এর প্রস্তুতি, দেবের সাথে সৃজিত।
সেই ২০১০ সালে টলি ইন্ডাস্ট্রির কত্তা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন অটোগ্রাফ দিয়ে। সুপার হিট অটোগ্রাফের পর থেকে অটোমেটিক ২০১৪ অবধি একের পর এক হিট ছবি। অটোগ্রাফের পর বাইশে শ্রাবন, হেমলক সোসাইটি, মিশর রহস্য, জাতিস্মর, চতুস্কোন….কোন টাই বাদ দেবার নয়। এর পরেই ২০১৫ তে সৃজিত বাবু বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন কে সাথে নিয়ে বানালেন “নির্বাক” যা দেখে দর্শককুল আজও নির্বাক থেকে গেছেন। শোনাযায় “নির্বাক” বেবাক ফ্লপ খাওয়া টাই নাকি মেনে নিতে পারেননি সৃজিত বাবু। তারপর থেকেই কেমন যেন রুক্ষ হয়েগেছেন। সে বছরই তার ছবি “রাজকাহিনি” একটু হাল ফিরিয়েছিল তবে তা সবটাই ছিল ধাঁ চকচকে প্রমোশনের খেল।
তাই নতুন উদ্যম ফিরে পেয়েই ২০১৬ সালে বঙ্গবাসী কে দিলেন চমক। একই ফ্রেমে পসেনজিত, দেব, যীশু, কৌশিক সেন….. মানে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলকে নিয়ে কলকাতার খিদির পুরের অন্ধকার জগতের গল্প “জুলফিকার”। হেমলক সোসাইটি বাদ দিয়ে সবকটি গল্পের মতো এটি উনিই রচনা করেছিলেন। কিন্তু সেই রচনা যখন সিনেমার পর্দায় আসে তখন তা গোচনা সহ অদ্ভুত এক গবেশনার ফল দাড়ায়। আসলে কলকাতার অপরাধ জগত সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে পুরো হিন্দি ফিল্মের অ্যাকশন সিন ঝেপে নামানো। অন্যদিকে দেব কে বোবা বানিয়ে আর কৌশিক সেন কে দিয়ে হুই হাই করিয়ে ডায়লগ বলিয়ে সে সময় জুলফিকার দর্শকদের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছিল -এ ঝুলপি কার?
যাক সে কথা। বাংলার সেরা পরাচালক বলে ওসব দেখতে নেই। এর পরের কাজ গুলি যথেষ্ট ভালো হলেও নির্বাকের বেবাক ফ্লপ হওয়ার দুঃখ তিনি ভুলতে না পেরে কেমন যেন হয়েগেছেন।
Get ready for our next venture..#Releasingin2024 https://t.co/6TyJOJ3Y8S
— DEV Entertainment Ventures (@DEV_PvtLtd) July 6, 2023
আপাতত আজকের খবর সৃজিত বাবু দেবের ঘরে গেচেন। দেব ও রুক্মিনীর সাথে ছবি তুলেচেন আর সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেচেন দেব ও রুক্মিনী। লিখেছেন তারা আবার, মানে দেব ও সৃজিত সাথে রুক্মিনী ফিরছেন ২০২৪ এ। প্রস্তুতি শুরু হল। কিন্তু কিসের? কেন? সে সব কি আমাদের মতো পোর্টাল কে জানাবেন নাকি। সেসব আগে জানাবেন শহরের পতম সারির পত্রিকা দের।
আপাতত এ বছর সৃজিত বাবুর পদাতিক, দশম অবতার আর অতি উত্তম আসবে বলেই খবর আছে। প্রচারের খেলা না দেখে হলে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে অতি উত্তম নাকি অতি অধম।