পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ বাংলার পুরনো মন্দির নিয়ে আগ্রহী? সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন পুরনো সব মন্দির খুজে বেড়াতে এবং ছবি তুলতে? পুরনো মন্দির প্রেমী মানুষরা মন্দিরের খোঁজে শুধুমাত্র বাঁকুড়াতেই ছোটেন। বাঁকুড়াতে অনেক পুরনো টেরাকোটার মন্দির আছে ঠিকই। কিন্তু সবাই যেখানে যায় তার বাইরে কোথাও যেতে চাইল এই লেখায় রয়েছে তেমনই একটা জায়গার খোঁজ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম পাঁচরোল। এই গ্রামেই রয়েছে চারটি বহু প্রাচীন মন্দির। রাধা – বিনোদ মন্দির, ষড়ভুজ গৌরাঙ্গ মন্দির, বৃন্দাবন জিউ মন্দির এবং মদন মোহন মন্দির। মন্দির তিনটি গ্রামের জমিদার চৌধুরী বংশের তৈরি। এখনও মন্দিরগুলি তত্ত্বাবধান তাদের হাতেই রয়েছে। চৌধুরী বংশের বর্তমান বংশধর এখনও এই গ্রামেই বসবাস করেন। তাদের দাবী মন্দিরগুলি ৪০০ বছরের পুরনো। যদিও কোন প্রতিষ্ঠা ফলক নেই মন্দির গাত্রে তাই সঠিক সময়কাল বোঝার নেই। যদিও দেখে হয় বা ইন্টারনেট বলছে মন্দিরগুলি সবকটিই ১৯ শতকের মাঝামাঝি তৈরি। যদি ছবি তুলতে ভালবাসেন তাহলে অবশ্যই সকালের দিকে যাওয়াই ভালো কারণ মন্দির চারটিই পূর্বমুখী। সকালে গেলে খুব ভালো ছবি আসবে।
পাঁচরোলের মন্দিরগুলিতে অবশ্য পোড়ামাটির কাজ বা টেরাকোটার কাজ খুব বেশি পাওয়া যাবে না। তাই বাঁকুড়ার মন্দিরগুলোর সাথে তুলনা করলে হতাশ হবেন। কিন্তু আপনি যদি পুরনো মন্দির ঘুরতে ভালোবাসেন সেক্ষেত্রে এটা আপনার ভালো লাগবেই। গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটতেও বেশ ভালোই লাগবে। শহরের দমবন্ধ করা পরিবেশের থেকে একটু মুক্তির স্বাদতো অবশ্যই পাবেন। যদিও সমস্যা একটাই গ্রামে খুব হনুমান দেখা যায়। যদিও আপনি যদি তাদের বিরক্ত না করেন তাহলে তারাও আপনাকে বিরক্ত করবে না। তাহলে আর কি ঘুরেই আসতে পারেন একদিনের জন্য। নিজের গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন এছাড়া দিঘা বা পূর্ব মেদিনিপুরের যেকোনো শহর থকেই বাস বা গাড়ি পেয়ে যাবেন পাঁচরোল যাওয়ার জন্য।