আমাদের দেশ এখন মূলত ক্রিকেট প্রধান দেশ, যদিও জাতীয় ক্রীড়া কাবাডী কিন্তু সেকথা থাক। ক্রিকেট মানেই টাকা, ক্রিকেট মানেই সুন্দরী রমনী বা নায়িকা, ক্রিকেট মানেই নাইট ক্লাবে রাত ভোর নাচানাচি। শীতকালীন একটা খেলা আজ সারাবছর ধরেই চলে শুধুমাত্র কোটি কোটি টাকার লোভে। এমনকি বেশীর ভাগ বিজ্ঞাপনেও দেখাযায় এই ক্রিকেট প্লেয়ার দের কেই, আটা ময়দা থেকে শুরু করে ঢালাই রড আবার গহনা বন্ধক দিয়ে ঋন কোথায় নেবেন সে বিজ্ঞাপনেও তারাই থাকেন।
ক্রিকেট প্লেয়াররা সারা বছর ক্রিকেট খেলে যা আয় করেন তার থেকে অনেক বেশীই আয় করেন বিজ্ঞাপন থেকে। আর এই কারনেই ভারতীয় যুব সম্প্রদায় ক্রিকেট খেলার প্রতি বেশী ঝোঁকে। দেশের অন্য ক্রীড়াগুলি আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে। থাক সেকথা কিন্তু বারো বছর পর আবার ভারতীয় ক্রিকেট দল ফাইনালে উঠেছে।। দেশের প্রতিটি নাগরিক তাকিয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপর। আমরা গর্বীত।
কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল আমাদের এই ঐতিহাসিক দেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় ক্রিকেট দল যা ভারতীয় সমগ্র দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতা কে উদ্ভুদ্ধ করে, অনুপ্রাণিত করে সেই দলের জার্সিতেই রয়েছে বেসরকারী অনলাইন জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপন।। যে অনলাইন জুয়া সংস্থার প্রলোভনে দেশের বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়েছেন। বহু যুবক এই প্রলোভনে পা দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন সেই তথ্য কখনও সামনে আসতে দেওয়া হয়না কোন অজানা কারনে।। আমাদের বেকার যুবকদের কে এই ক্রিকেটের মহাতারকারাই বিপথগামী করছেন।
ক্রিকেট বেটিং আইনত নিষিদ্ধ কিন্তু যদি সরকার কে লাইসেন্স ফি বরং বলাভালো কমিশন দিয়ে বেটিং করি যায় তাহলে তা বৈধ।। এটা কি দেশের জনগন কে বোকা বানানো নয়? আমাদের রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিশ জার্সি গেরুয়া করার প্রতিবাদ করলেও এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি। মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোকপাত করলে দেশের যুব সম্প্রদায় এই ভয়ঙ্করতম বিপদ থেকে মুক্তি পাবে বলেই আমাদের ধারনা।