সৌমেন দাসঃ বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, যত দোষ নন্দ ঘোষ । অর্থাৎ যা কিছুই ঘটুক না কেন তার সব দোষই নন্দ ঘোষের। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব দুর্ঘটনা তেই এখন রাজ্য সরকারের দোষ দেখতে পাচ্ছেন। কিছু দিন আগে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় আসেন, আর সেই দিনই উত্তর কলকাতার কাশিপুরে একজন বিজেপি সমর্থক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন, সাথে সাথেই অমিত শাহ সেখানে পৌঁছে যান এবং তিনি এটা আত্মহত্যার পরিবর্তে খুনের অভিযোগ তোলেন এবং এখানে সি বি আই তদন্তের দাবি তুলে দেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারী হাসপাতাল বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কমান্ড হসপিটালে মৃত দেহের ময়না তদন্ত করা হয়, কিন্তু সেখানেও আত্মহত্যাই প্রমানিত হয়। ঠিক এই ভাবেই রাজ্যের বেশ কয়েক টি গ্রামে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেই সেখানে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দল বল নিয়ে পৌছাতে দেরি করেন না এবং মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সামনেই মৃত ব্যাক্তি কে বিজেপি কর্মী বলেন এবং সাথে সাথে সেই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার বা তৃনমূল কেই করেন, অথচ তাদের সামনেই তৎক্ষণাৎ মৃত ব্যাক্তির পরিবার তাদের তাদের দাবি ভুল বলে সাংবাদিকদের জানান। সব মৃত দেহ গুলিকেই জোর করে বিজেপি কর্মী বলে চালানোর আকুল চেষ্টা যা বার বার ফেল হয় । এবার প্রখ্যাত গায়ক কেকে-র মৃত্যুর জন্য রাজ্য বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ এবং প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ রাজ্য সরকারের অব্যাবস্থা ও অমিত শাহের উক্তি তুলে ( অমিত শাহ কলকাতায় এলেই মারা যাবেন ) ধরে সি বি আই তদন্তের দাবি করেন। যদিও আজ সকালেই মুম্বাই তে কেকে-র শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল কেকে-র হোটেলের রুম থেকে এন্টাসিড জাতিও ওষুধের শিশি পেয়েছেন এবং কেকে-র স্ত্রী ও পরিবার কলকাতা পুলিশ কে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে কেকে পিত্ত বা অম্লশুলে ভুগছিলেন সেখানে তাঁর গাফিলতি তেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে সি বি আই তদন্ত হবে কিনা সে বিষয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়, সময় বলবে। কিন্ত বি জে পি পশ্চিমবঙ্গে এই ভাবে আরও পিছিয়েই পড়বে। তার সাথে সাথে তারা যে বাংলার ভাব মূর্তি কে কালিমালিপ্ত করছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে কাশ্মীর -এ আবার নতুন করে হিন্দুদের বা পরিযায়ী হিন্দু শ্রমিক দের ওপর আক্রমন শুরু হয়েছে সে নিয়ে কোন মতামত বা বক্তব্য পেশ করেননি কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল কাশ্মীরের একই জায়গায় একজন ব্যাঙ্ক কর্মী কে ( বিজয় কুমার ) কে প্রকাশ্যে ব্যাঙ্কের মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ওই এলাকারই আর একটি জায়গায় বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর গুলি বর্ষণ করা হয় তাতে একজন মারা যান আর একজন সাঙ্ঘাতিক রকমের ঘায়েল হয়েছেন।
এবার দেখা যাক এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কি পদক্ষেপ আসে ।