সকাল সাতটা থেকেই যেরকম হাঁ হাঁ করে রোদ উঠছে, তাতে ট্যানের হাত থেকে বাঁচা খুব মুশকিল! বিশেষ করে যাদের কলেজ বা অফিসের সূত্রে বাড়ির বাইরে পা রাখতে হয় রোজ তাঁদের ক্ষেত্রে তো রোদে পুড়ে অনুজ্জ্বল হয়ে পড়া ত্বকের পুরোনো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনাটা মহা ঝামেলার বিষয়। কিন্তু অত চিন্তাভাবনা না করে যদি চটপট কাজে লেগে পড়েন, তা হলে দেখবেন সহজেই ঝলমলে ত্বক ফের ফিরে এসেছে। কীভাবে তা সম্ভব, জানতে চান? উপায়গুলি খুব সহজ, দারুণ কাজেরও বটে। তবে খানিকটা সময় লাগবে আর নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে। তা হলেই আপনি আবার ঝলমলিয়ে উঠবেন!
লেবুর রস আর মধুর প্যাক:
পাতিলেবুর রস আর মধু এমন পরিমাণে মেশান যাতে বেশ গাঢ় মিশ্রণ তৈরি হয়। মুখে, হাতে-পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণে খানিকটা চিনি মিশিয়ে নিলে স্ক্রাবিংয়ের কাজটাও হয়ে যাবে।
দই আর টোম্যাটোর প্যাক:
টোম্যাটোর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড কোমলতা নিশ্চিত করে। টোম্যাটো আর দইয়ের প্যাক মিনিট কুড়ির বেশি রাখবেন না, আর কখনও যদি মনে হয় ত্বকে অস্বস্তি হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তুলে দিন। তার পর বরফঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নেবেন।
শসার রস:
রোদে পোড়া ত্বকের পুরোনো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে শসার রস দারুণ কার্যকর। শসা কুরে রস বের করে নিন, তার পর তুলো দিয়ে লাগান পোড়া আংশে। সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবু প্রাকৃতি ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।
বেসন আর কাঁচা হলুদের মিশ্রণ:
বিশেষ করে ভারতীয় কমপ্লেকশনকে উজ্জ্বলতর করে তুলতে হলুদের জুড়ি নেই। কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে বেসন আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন। দিন সাতেকের মধ্যেই ফারাকটা টের পাবেন।
মধু আর পাকা পেঁপের প্যাক:
পেঁপের এনজ়াইম প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, মধু জোগায় আর্দ্রতা। প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মনে রাখবেন ট্যান রিমুভ করার পদ্ধতি শুরু করার পর কিন্তু আর রোদ লাগাবেন না। এই সময় ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। রোদ লাগলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। দরকারে ছাতা, টুপি, স্কার্ফ ব্যবহার করুন। ভালো ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন লোশান্ ব্যবহার করতে পারেন।