ভূত বা অতৃপ্ত আত্মা আদৌ আছে না নেই এ নিয়ে রয়েছে বহু বিতর্ক। আজকের এই অত্যাধুনিক দিনে ভূত বা প্রেত আত্মাদের উপস্থিতি নিয়ে বহু মানুষ আছেন যারা এই বিষয় টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের মতে ভূত বা প্রেত আত্মা বলে কিছু হয়না। এসবই মনের ভূল বা মনগড়া কাহিনী। আবার অন্যদিকে বাংলা সাহিত্য থেকে বিনোদন জগতে সব থেকে জনপ্রিয় বিষয় হল এই ভূত বা প্রেত আত্মাদের নিয়ে নানান কাহিনী।
অন্যদিকে এই অত্যাধুনিক তীব্রগতির ইন্টারনেট যুগেই আমরা জানতে পারছি বহু বিজ্ঞানী তাদের বিভিন্ন রিসার্চ ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রমান করেছেন আত্মার উপস্থিতি সম্পর্কে। তবে তারা কখনই ভূত বলতে রাজি নন। মানুষের মৃত্যুর পর আত্মা বা স্পিরিট শরীর ত্যাগ করছে সেই ছবিও বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এবার সেই আত্মাদের উপস্থিতি টের পেলেন কাঁচরাপাড়ার একটি ঝাঁ চকচকে শরীর চর্চার জিম ও বিউটি সালোন।
কাঁচরাপাড়ায় অবস্থিত এই জিম ও বিউটি সালোন এর মালিক তার প্রতিষ্ঠান টিকে বন্ধ করে সাটারের ওপর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন – এই জিম এ অতৃপ্ত আত্মাদের উপস্থিতি অনুভব করা গেছে। এবং তারা ক্রমাগত প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও গ্রাহক সদস্যদের আক্রমন করছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। এবং গ্রাহক ও সদস্যদের অন্যত্র পরিসেবা দেবার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
এ সব কিছুই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এর সাথে ভাইরাল হয়েছে আরো দুটি ভিডিও যা প্রতিষ্ঠানটির ভীতরে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে।
যেখানের একটি তে দেখা যাচ্ছে জিম এর মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ বসে কথা বলছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই পুরুষ কর্মী টি অসুস্থ হয়ে মাথা পিছনের দিকে করে পড়েযান এবং মৃগী রোগীর মত খিচুনি দিতে থাকেন।
আবার অন্য একটি ভিডিও তে রয়েছে – এক মহিলা ওই বিউটি সালোন এ চুলের পরিচর্চা করতে সালোনের চেয়ারে বসে পরিসেবা নিতে নিতেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞ্যান হারাচ্ছেন। দুটি ভিডিও দেখলেই মনে হবে তারা যেন কোন অদৃশ্য বস্তু কে দেখতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর অনেকেই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকে হাসি মজার সাথে উড়িয়েছেন আবার কেউ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন আর বলেছেন, যার সাথে ঘটে এটা একমাত্র সেই অনুভব করতে পারে।
আমরা এই বিষয়ে জানতে কলকাতার বিশিষ্ট প্যারানরমাল রিসার্চার ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি এই ভাইরাল ভিডিও গুলি দেখে জানালেন – “শুধুমাত্র এই ভিডিও দেখে বলা মুস্কিল যে এখানে সত্যিই কোন স্পিরিটের বা অতৃপ্ত আত্মার উপস্থিতি আছে কিনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে কাছাকাছি বসানো মোবাইল টাওয়ারে উৎপন্ন হওয়া চৌম্বকীয় পরিবেশ যার ফলে ঐ স্থানে বেশীক্ষন থাকা ব্যাক্তিদের হ্যালুশিনেশন বা মরিচিকার মতো ভুল দেখা বা অনুভব হওয়া সম্ভব হয়। আবার স্থানীয় সম্পত্তিগত বিবাদ কে কেন্দ্র করেও ভুলতথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কতৃপক্ষ এই নোটিশটি দিয়েছেন যখন তখন বুঝতে হবে যে নিশ্চিতরূপে অতিমাত্রায় কিছু ঘটেছে। তবে সেটা চৌম্বকীয় পরিবেশের কারনে না অতৃপ্ত স্পিরিট বা আত্মার কারনে তা অনুসন্ধান না করে বলা সম্ভব নয়। কারন কোন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কে এই ভাবে ভুল তথ্য প্রচার করে বন্ধ করতে চাইবেন না।