অনুব্রত মন্ডল নাম টিই যথেষ্ট, বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি ছিলেন একদা। যার নামে বাঘে হরিনে একসাথে এক ঘাটে জল খেতেন। ভোটের প্রচারে এবং বিভিন্ন সময়ে বিরোধী দল কে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করতে
তার করা উক্তি ছিল চরম ভাইরাল, গুড় বাতাসা, নকুলদানা, চরাম চরাম ইত্যাদি।
বেপরোয়া স্বভাবের এই তৃণমূল নেতা কে নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেও মাঝে মধ্যেই আসরে নামতে হত। এহেন দৌড়দন্ড প্রতাপ নেতার মাথায় অক্সিজেনের অভাব সে কথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জনগণের সামনে আনেন। প্রকাশ্যে জনসভা থেকে এই অনুব্রত মন্ডল পুলিশ কে বোমা মারার উপদেশ দিয়েছেন।। এহেন বাংলার বাঘ কেই তার বাড়ির থেকে, ভোর বেলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কেও পড়বর্তীকালে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় অনুব্রত মন্ডল কে তিহার নিয়ে যেতে।
দীর্ঘ দিন তিহার জেলে থেকে তার চেহারায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। এমনকি তার একমাত্র কন্যাকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তদন্তে অসহযোগিতা ও বাধাদেবার কারণেই গ্রেফতার করে তিহার জেলেই বন্দি করে রাখেন। অন্যদিকে মামলা চালানোর অর্থে টান পড়ার মতো অবস্থাও অনুব্রত মন্ডল কে দেখতে হয়েছে।।
অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে গরু পাচার ও দুর্নীতির সাথে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টে গরু পাচার মামলা থেকে তাকে জামিন দেওয়া হয় তদন্তে সব রকমের সাহায্যের পরিবর্তে।। তবে এখুনি তার বাড়িফেরা হবে না। এখনো ইডির মামলা বাকি রয়েছে।। বীরভূম জেলায় তার পরিবর্তে এসেছে নতুন মুখ। তৃণমূল নেত্রী শতাব্দী রায়, অনুব্রত কে সমর্থন করলেও এখনো অনুব্রত মন্ডলের সাথে দেখা করতে যাবার বিষয়ে কোন মুখ খোলেননি।।