অঙ্কিতা দাস ,কলকাতা :যে সময়ে দাঁড়িয়ে একটার পর সিরিয়াল আসছে আর যাচ্ছে । টিআরপির খেলায় হেরে যখন মাএ ২-৩ মাসেই একাধিক সিরিয়াল পাততারি গোটাতে বাধ্য হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে দর্শকদের মনে রাজ করল মিঠাই । অবশেষে ইতি পড়ল এ জার্নিতে। শেষ বেলাতেও এক ঝাঁক চমক রইল মিঠাই-সিদ্ধার্থের তরফে। পিছিয়ে থাকলেন না সোম- তোর্সাও ।
গত ২০২১-এর ৪ জানুয়ারি থেকে পথচলা শুরু হয় মিঠাইয়ের। ভূমিকায় ছিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু । তাঁর বিপরীতে দেখা যায় আদৃত রায়কে। তাদের এই সিধাই জুটি ভক্তদের ততটাই পছন্দের ছিল যতটা মনোহরা পরিবার । কিন্তু কী কী ঘটল শেষপর্বে? চলুন জেনেনি শুরুতেই হাসপাতালে দেখা মিলল চিন্তিত সিদ্ধার্থ মোদকের। মিঠাইয়ের ডান হাত দিতে হবে চিকিৎসকের মুখে এ কথা শুনে বুক কেঁপে ওঠে উচ্ছেবাবুর । ডান হাত না থাকলে মিঠাই মিষ্টি তৈরি করতে পারবে না, আর এমনটা ঘটলে” মিঠাই তো মরেই যাবে” তা অজানা নয় তাঁর। তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করেও মিঠাই রানী হাসিমুখে জানায়, হাত বাদ পড়লেও তাঁর চিন্তা নেই কারণ তাঁর আরেকটা ডান হাত রয়েছে। এরপর সে ইশারা করে উচ্ছে বাবুর দিকে।
মিঠাই যখন অপারেশন থিয়েটারে কেবিনে বসেই ছেলে -মেয়ে কে নিয়ে প্রার্থনা চালিয়ে যায় সিদ্ধার্থ। এরপর গানে গানে গোপাল স্মরণ করে মোদক পরিবার। ডাক্তারবাবু জানায় মিরাকেল ঘটেছে এবং মিঠাইয়ের হাত বাঁচানো গিয়েছে। হাসপাতলে বসে সিদ্ধার্থ মোদক গোপালকে প্রমিস করে মিঠাই বাড়ি ফিরলে সে নিজের হাতে পিঠেপুলি করে গোপালকে খাওয়াবে।
যেমনটা লেখিকা কথা দিয়েছিলেন, একটা বিত্ত সম্পন্ন করে শেষ হলো মিঠাই আর উচ্ছে বাবুর গল্প। প্রথম সাক্ষাৎ-এ শালপাতার বাটিতে মনোহরা, হাতে দাঁড়ানো মিঠাইয়ের দিকে চোখ গোল গোল করে সিদ্ধার্থ বলেছিল- “আই হেট সুইটস” , মিষ্টি দেখলে আমার বমি পায় । তবে এদিন নিজের হাতে মনোহরা খেল সিদ্ধার্থ মোদক। বরের কান্ড দেখে নিজেকে চিমটিই কাটল মিঠাই রানী । হাঁ গোটা মোদক পরিবার। এবার চোখ গোল গোল করেই সিদ্ধান্ত জানালো,” মিষ্টি খেলে আমার আর বমি পায় না বিকজ আই লাভ সুইটস ” । এরপরই বুকে বুকে টেনে নিল সিদ্ধার্থ আর সবাই বলে উঠল “জয় গোপাল” । এইটাই সিরিয়ালের শেষ সংলাপ শেষ ফ্রেম সকলকে একসঙ্গে গ্ৰুফফি তুলতে দেখা যায়। এখানে মিঠাইয়ের গল্প ফুরালো নটে গাছটি মুড়ালো……..
ভক্তদের তরফ থেকে শেষ অনুরোধ জানালো তাঁরা জি বাংলাকে, সম্ভব হলে মিঠাই টু আসুক”। অন্য এক নেট নাগরিকের মতে , ‘মিঠাইয়ের রেশ রয়ে যাবেই। মিঠাই ২ -এর মাধ্যমে আবার সবার ফেরার অপেক্ষায় রইলাম ‘।