সাম্প্রতিক কালের সব থেকে ট্রেন্ডিং বিষয় যদি কিছু থাকে তা হলো আর জি কর হাসপাতালে ছাত্রী চিকিৎসকের নির্মম নারকীয় ধর্ষণ ও হত্যা। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর প্রতিটা দেশের সর্ব স্তরের মানুষ আজ প্রত্যেক মুহূর্তে দাবী তুলছেন we want justice. স্বাভাবিক ভাবেই সব খবরের মাধ্যমে রাজনৈতিক তরজার বিষয়ও এখন এই ঘটনাটি।
আর জি কর কাণ্ডের জেরেই, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি সব কেঁপে উঠেছে। এই একই কারণে কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের মানুষ ধর্ষণের বিরুদ্ধে এক অভিনব মানব বন্ধন তৈরী করছেন যা দেখে সত্যিই নাগরিক হিসাবে যে কেউ গর্বিত হতে পারে। কিন্তু বিশ্বের সব মানুষের এই একাগ্র মানসিকতা কেই কেউ কেউ ব্যবহার করছেন নিজের স্বার্থে। ঠিক যেভাবে ইউটিউবে একজন বাঙালী ইউটিবার অভয়ার আত্মা কে প্ল্যানচেট করার ভিডিও ভাইরাল করছেন।
এই নিয়েই আমাদের কাছে নিজস্ব মতামত দিতে গিয়ে কলকাতা তথা ভারতের প্ৰখ্যাত ভূত গবেষক ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত আমাদের জানালেন – এই পৃথিবীতে খারাপ মানসিকতার লোকের অভাব নেই। যারা মৃত ব্যক্তিদের নিয়েও ব্যবসা করে চলেছেন। ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন এখন বেশ একটা জনপ্রিয় পেশা। কিন্তু যেখানে একজন বাঙালী নারী এবং কৃতি ছাত্রী ধর্ষণ ও খুন হলেন, যাকে নিয়ে সবার মন ব্যাথিত ভারাক্রান্ত, যে মৃত্যু নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে যাচ্ছেন এবং এখনো সব অপরাধী ধরা পড়েননি, এক বাঙালী ইউটিউবার যিনি নিজেকে ভূত গবেষক বলে দাবী করেন, তিনি শুধুমাত্র কিছু ভিউস আর ইউটিউব থেকে রোজগার করার তাগিদে “অভয়া”র আত্মা কে প্ল্যানচেট করে ডেকে তার গলার আওয়াজ শোনানোর নোংরামি করে চলেছেন এবং সাধারণ মানুষ দের প্রতারণার সাথে সাথে “অভয়া” আত্মা কেও অপমান করছেন।
পেশায় চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত আরো আমাদের জানান, আত্মা বা স্পিরিট কারোর পোষা ভৃত্য নয় যে হুকুম করলেই তামিল করতে হাজির হয়ে যাবে। ভূত গবেষণার প্রথম শর্ত হলো give respect, get repect…. এখানে সদ্য প্রয়াত ব্যক্তির আত্মার প্রতি যদি ওনার বিন্দু মাত্র সম্মান থাকতো তাহলে এখুনি ওনাকে নিয়ে এই ভিডিও করতেন না। দ্বিতীয়ত হলো কোন আত্মা বা স্পিরিট কে প্ল্যানচেট করতে হলে যেটাকে আমাদের ভাষায় বলে pull Back Method, সেই সময় মিডিয়া হিসাবে মৃত ব্যক্তির পছন্দের মানুষ বা মৃত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোন জিনিস ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এসবের আয়োজন থাকলেও ৯৯% সময়ে স্পিরিট আসতে চায়না। কিন্তু এই “ভন্ড ভূত গবেষক” এই সব কোন নিয়ম না মেনেই শুধু মাত্র লক্ষ লক্ষ ভিউস এবং ইউটিউব থেকে রোজগারের জন্য এই নিম্নরুচির কাজ করছেন। বিজ্ঞান মঞ্চ ওনাকে ঠিকই চ্যালেঞ্জ করছেন। আমি এবিষয়ে বিজ্ঞান মঞ্চ কে সমর্থন করি। একই সাথে প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে নজর রাখা।