অবাক হবেন না, ঠিক এরকম টাই দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছেন দেশের কেন্দ্রীয় পশু কল্যান মন্ত্রক।
তথ্য অনুযায়ী 14ই ফেব্রুয়ারি দিন টিকে সেন্ট ভ্যালেনটাইন নামক এক খ্রিষ্টান সাধুর শহীদ দিবস কে গোটা পৃথিবীতে প্রেম ও ভালোবাসার একটি বিশেষ দিন হিসাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু দশক ধরে এই প্রেম ও ভালোবাসার দিন টি শুধুমাত্র প্রেমিক যুগলরাই তাদের একটি দিন হিসাবে উদযাপন করে আসছেন। এই দিনটিতে গোটা পৃথিবীতে প্রেমিক যুগলরা আনন্দের সাথে পালন করেন। উপহার দেওয়া নেওয়া, নামীদামি রেস্তোরাঁয় খাওয়া, শহরের মধ্যে থাকা “লাভারস্ স্পট” গুলিতে প্রেমিক যুগল দের ভীড় থাকে চোখে পড়ার মত।
সারাটা বছর গোটা পৃথিবীর প্রেমিক যুগলরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। আমাদের দেশেও প্রমিক যুগলদের মধে এই লক্ষন সমান ভাবে লক্ষনীয়।যদিও ইসলামিক দেশ গুলি এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপন সমর্থন করেন না।
এবার আমাদের দেশের পশু কল্যান মন্ত্রক থেকেও, সমগ্র দেশবাসীর কাছে আবেদন করা হল আগামী 14ই ফেব্রুয়ারি দিন টিকে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসাবে পালন করার জন্য। এবং এই নিয়ে একটি সরকারি নোটিশ জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে – আমরা সকলেই জানি যে গরু হল ভারতীয় সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড, আমাদের জীবনকে টিকিয়ে রাখে, গবাদি পশুর সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি “কামধেনু” এবং “গৌমাতা” নামে পরিচিত, কারণ এটি মায়ের মতো পুষ্টিকর প্রকৃতি, মানবজাতিকে সমস্ত সম্পদ প্রদানকারী। সময়ের সাথে সাথে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অগ্রগতির কারণে বৈদিক ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাশ্চাত্য সভ্যতার চমক আমাদের ভৌত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রায় বিস্মৃত করে দিয়েছে। গরুর অপরিসীম উপকারের পরিপ্রেক্ষিতে, গরুর সাথে আলিঙ্গন মানসিক সমৃদ্ধি আনবে তাই আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সুখ বৃদ্ধি করবে। তাই, সকল গরুপ্রেমীরাও মা গরুর গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালন করতে পারে এবং জীবনকে সুখী ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর করে তুলতে পারে।
এবার আপনারা কিভাবে উদযাপন করবেন সেটা ভাবুন। তবে যারা – রাজনৈতিক ভাবে কট্টর ধর্মীয় ভাবাবেগে আছন্ন তারা গরুর দুধে সোনা খুঁজে পেয়েছেন, কাঁচা গোবর খেয়ে নিজেকে সুস্থ রাখার নিদান দিয়েছেন। এবার হয়তো তারা গরু আলিঙ্গনের ছবি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভরিয়ে তুলবেন।