দীঘা মন্দারমণি তাজপুর জায়গা গুলি বাঙালি ও অন্যান্য ভ্রমণ প্ৰিয় মানুষদের কাছে অন্যতম প্ৰিয় জায়গা। সময় সুযোগ পেলেই সপরিবারে বা প্রিয়জন কে সাথে নিয়ে এই জায়গা গুলিতেই ঘুরতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। ফলত এই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কে ঘিরেই সাধারণ স্থানীয় মানুষের ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে ওঠে।।
এবার তাজপুরে অবৈধ ভাবে বন্দোপ্তরের জমির ওপরে দোকান ঘর তৈরী ও তাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বনদপ্তরের সরকারী আধিকারিক মৌমিতা সাউ, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির বাধার সম্মুখীন হলেন। মহিলা সরকারী আধিকারিক মৌমিতা সাউকে মন্ত্রী অখিল গিরি “দেখে নেবার” হুমকি দিয়েছেন বলেই অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়েই মন্ত্রী অখিল গিরি আবারও সংবাদের শিরোনামে এলেন এবং শনিবার এই ঘটনা কে নিয়েই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল।
বনদপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে কিছু দোকান ঘর আগে থেকেই গজিয়ে উঠেছিল। তবে সমুদ্রের জলে সেই সব দোকান ঘর গুলি নস্ট হয়ে যাবার পরে রাতের অন্ধকারে আবারও সেই জায়গা গুলিতেই নতুন করে অবৈধ নির্মাণ শুরু হয় যা মন্ত্রী অখিল গিরি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করেন। বনদপ্তরের আধিকারিকরা যখন বাধা দিতে যান তখনই মন্ত্রী অখিল গিরির সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়।
অন্যদিকে মন্ত্রী অখিল গিরি জানান, দুর্যোগের জেরে বাঁধ ভেঙে স্থানীয় মানুষ দের দোকান ঘর গুলি সমুদ্র গর্ভে চলে যায়। বাঁধ মেরামত করতে যেটুকু সময় লাগে সেই টুকু সময়ের জন্য তাদের অস্থায়ী দোকান ঘর করে দেওয়া হচ্ছিলো যাতে বাধা দেয় বনদপ্তরের কর্মীরা। আগেও অবৈধ জমি দখল করে দোকান হয়েছে সেখানে বনদপ্তরের কর্মীরা চুপ থাকেন কেন? গরীব মানুষদের পেতে লাথি মারার চেষ্টা করছে বনদপ্তর।।