আজ কিছুক্ষণ আগেই কোলকাতা পুলিসের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয় ।
লক্ষ্য, অপরাধ মুক্ত কলকাতা
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী আরও একবার দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের স্বীকৃতি পেল কলকাতা। এই নিয়ে গত চার বছরের মধ্যে তিন বছর ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তকমা পেল আমাদের তিলোত্তমা, ২০১৯ বাদে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো প্রকাশিত ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় গুরুতর অপরাধের হার ভারতের অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেকটাই কম।
সারা দেশে যে সব শহরের জনসংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি, সেগুলিতে সংঘটিত অপরাধের হার যাচাই করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় সামগ্রিক অপরাধের হার ১০৩.৪। প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যা পিছু সংঘটিত অপরাধের ভিত্তিতে ঠিক করা হয় এই হার। গত বছর কলকাতার ক্ষেত্রে এই হার ছিল ১২৯.৫।
আরও উল্লেখযোগ্য হল কলকাতায় ক্রমাগত কমতে থাকা ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতাভুক্ত অপরাধের হার, যা প্রায় কোনও শহরেই নজরে পড়ে না। কলকাতায় ২০২১-এ এই হার কমে হয়েছে ৯২.৬, যা ২০২০ সালে ছিল ১০৯.৯, ২০১৮ সালে ১৩৯.৫, ২০১৭ সালে ১৪১.২, এবং ২০১৬ সালে ১৫৯.৬।
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাতেও গোটা দেশের মধ্যে ফের সবার আগে কলকাতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ১৯টি বড় শহরের অনুপাতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের তালিকায় একেবারে শেষ স্থানে আমাদের শহর। ২০২০ সালে কলকাতায় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে ১৬০টি, যা ২০২১-এ কমে হয়েছে ১২৭, দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় যা চোখে পড়ার মতো কম। দিল্লিতে সংঘটিত শ্লীলতাহানির সংখ্যা ১০২৩, মুম্বইতে ৬৪৪। ধর্ষণের নিরিখে ২০২০-র পরিসংখ্যান অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম হয়েছে কলকাতা, এবং এই তালিকায় সর্বশেষ দুই স্থানে রয়েছে কোয়েমবাতুর এবং কলকাতা, ধর্ষণের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ১২।
আবারও একবার কমেছে খুন বা খুনের চেষ্টার মতো অপরাধ। ২০২০ সালে কলকাতায় খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৫৩টি, যা ২০২১-এ কমে হয়েছে ৪৫, যেখানে দিল্লি ও মুম্বইতে খুনের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫৪ এবং ১৬২। কলকাতায় যেখানে খুনের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১৩৫টি, দিল্লি ও মুম্বইতে এই সংখ্যাই যথাক্রমে ৭৫২ এবং ৩৪৯।
এই পরিসংখ্যান আমাদের কাছে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আরও সুদৃঢ় করে তোলা হচ্ছে পরিকাঠামো। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শক্তিশালী হয়েছে প্রযুক্তি প্রহরাও। কলকাতাকে বিপদ-মুক্ত রাখার জন্য আমাদের একাধিক বাহিনী সবসময় প্রস্তুত। এরই পাশাপাশি, সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য একাধিক উদ্যোগ ও প্রচারও জারি রেখেছি আমরা। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও নিবিড় হচ্ছে রোজ।
কলকাতাকে সম্পূর্ণ অপরাধমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। অনুরোধ, পাশে থাকুন।
সূত্র ঃ<
/div>