পুলিশের দ্বারা যখন দুষ্কৃতিদের দুষ্কর্ম সামনে না আসে তখন সেই দুষকর্মকে সামনে আনার জন্য সিবিআই কে নামতে হয় ময়দানে। আর সিবিআই ময়দানে নামলেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে।
অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
সিবিআইয়ের হাত পড়লে বড় বড় দুর্নীতিবিদদেরও দুর্নীতি ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ এর থেকে ছাড় পায়নি। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির পর্দা সরছে ধীরে ধীরে। মিলছে নতুন নতুন তথ্য। অবশ্য এ প্রসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের অর্ধাঙ্গিনী অর্থাৎ সঙ্গীতা দেবী বলেছেন তার স্বামী নির্দোষ এবং তাকে কেউ বা কারা ফাঁসাচ্ছে।
অথচ সিবিআই তদন্ত করে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মিলেছে কোভিড ফান্ডের তছরুপ, স্বজন-পোষণ, টেন্ডার দুর্নীতি সহ আরো অনেক অভিযোগ।
তার দুর্নীতির এক ঝুড়ি অভিযোগের পর্ব সামনে আসতে না আসতেই মিলল তার বিশাল সম্পত্তির খোঁজ। তার বিশাল সম্পত্তি টি মিলেছে ক্যানিংয়ের নারায়নপুর গ্রামে। সেই গ্রামে রয়েছে ২ বিঘা জমির উপর তার বিশাল বাংলো বাড়ি। সেই বাড়ির নাম রেখেছে সন্দীপ সঙ্গীতা।
সম্পত্তি বা অর্থনীতি সংক্রান্ত সমস্যা হলেই সেখানে হানা পরে “এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অর্থাৎ ইডি”। সন্দীপ ঘোষ একেই সিবিআই এর চাপ সামলে উঠতে না উঠতেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে “ইডি”।
ইডি এর অফিসারগণ অভিযান চালায় সন্দীপ ঘোষের কলকাতা,হাওড়া,হুগলী, সল্টলেক সহ মোট আটটি জায়গায়।
সি বি আই জানান আর জি কর হাসপাতালের কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে জর্জরিত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলী খান ও হাসপাতালের দুইজন ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকেও গ্রেফতার করেন। সকাল থেকে ED তল্লাশি চালিয়ে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় কে সোনারপুরের বাড়ি থেকে নিয়ে গেলো Ed। সকাল থেকে সোনারপুরের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে এডি গেলো সন্দীপ ঘোষের ক্যানিংয়ের দ্বিতীয় বাড়ি তে
শ্বশুরবাড়ি চন্দননগরে ইডির হানা, এছাড়া সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার এয়ারপোর্ট এলাকার ফ্ল্যাটেও ইডি তল্লাশি করেছে বলে শোনা যাচ্ছে, এখনো তল্লাশি চলছে।