কলকাতা | সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বাঙালি তরুণীদের একাংশের কার্যকলাপ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিনোদনের আড়ালে যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, তা কি আদৌ শালীনতার মধ্যে পড়ে? নাকি সমাজে এক নতুন ধরনের বিকৃতির জন্ম দিচ্ছে?

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অগণিত তরুণী নিজেদের শরীরকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যেখানে ভাষার শালীনতাও বজায় থাকছে না। স্পষ্টতই, এ ধরনের কনটেন্ট শুধু ‘ভিউ’ এবং ‘লাইকের’ আশায় বানানো হচ্ছে। তবে এর ফলে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর পড়ছে গভীর ছাপ।
অশ্লীলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে কলকাতায় ?

রণবীর এলাহাবাদিয়া এবং সময় রায়নার সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যের পর ভারতজুড়ে অশ্লীল কনটেন্টের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কলকাতায় কি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ হবে? সামাজিকভাবে, প্রশাসনিকভাবে কি এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতা থাকা দরকার, তবে তা কখনোই অসভ্যতা বা বিকৃত বিনোদনের হাতিয়ার হতে পারে না। সমাজের একাংশ দাবি করছে, এই ধরনের কনটেন্টের লাগাম টেনে ধরতে কড়া আইন আনা হোক। অন্যদিকে, কিছু মানুষ এটিকে ‘ব্যক্তিগত স্বাধীনতা’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন।
তবে সত্যি বলতে, প্রশ্নটা শুধু স্বাধীনতার নয়, এটা আমাদের সমাজের নৈতিকতারও। বিনোদনের নামে শালীনতার সীমানা কতদূর টানা হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
আপনার মতামত কী? কলকাতায় অশ্লীলতার বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়া উচিত? কমেন্টে জানান!