Home » উৎসবে নেই, সিনেমার প্রচার করেই নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে – স্বস্তিকা

উৎসবে নেই, সিনেমার প্রচার করেই নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে – স্বস্তিকা

উৎসবে নেই, সিনেমার প্রচার করেই নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে - স্বস্তিকা

সামাজিক মাধ্যমে বহু চর্চিত একটি মুখ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সর্বদাই তিনি তার মুক্ত মানসিকতা এবং ফ্যাশন এর কারণে পর্যায় থেকেছেন।


অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা


আর জি কর তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষের সাথে বহু তারকারাও। তাদের মধ্যে ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। আমরা তাকে দেখেছি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাত দখল কর্মসূচিতে যোগদান করতে। তাকে আমরা এও বলতে শুনেছি ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থামাবেন না এবং এবছর দুর্গোৎসব পালন না করার বার্তাও দিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তার আসন্ন ছবি “টেক্কা” এর মুক্তির খবর নিজেই প্রকাশ করেছেন, এবং আমাদের কাছাকাছি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখার অনুরোধও তিনি জানিয়েছেন। তার এই রূপ পোস্ট দেখে প্রশ্ন উঠছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুর্গোৎসব বয়কট করার প্রচার করছেন অথচ তিনি তার নিজের আসন্ন ছবির প্রচার করতেও পিছু পা হাঁটছেন না কেন?

আমরা সকলেই জানি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় একজন অভিনেত্রী এবং অভিনেত্রী হওয়ার কারণে তিনি সর্বদাই তার ছবিকে সুন্দর করে তোলার জন্য অনেক কষ্ট করে দিন রাত এক করে শুটিং করেন। এবং কষ্টের পর তার ছবি সাফল্য পেলে আনন্দ হয় প্রবল। এই কারণেই তারা প্রচার করেন যাতে সপরিবারে সকলেই ছবি দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত থাকে।

তবে এইবার আরজিকর কান্ডকে ঘিরে উত্তাল রাজ্যবাসী কি আনন্দিত হয়ে ছবি দেখতে যাওয়ার আমি যে থাকবেন? যদি তারা ছবি দেখতে যাওয়ার আগে তো থাকতেন তবে তাতে এতে কিসের শোকের ছায়া দৃশ্যমান হচ্ছে? সবার পুজোর শপিং এবং অন্যান্য কাজকর্মে কোন রূপ শোক প্রকাশ না পেলে শুধু দুর্গোৎসবের পালনের ক্ষেত্রে কেনই বা শুধু শোক প্রকাশ করার কথা মাথায় আসছে?দুর্গোৎসব পালন করলেই কি শুধু উৎসব পালিত হয়? সবাই মিলে দল বেঁধে সিনেমা দেখতে যাওয়া এতে কি উৎসব পালিত হয় না? সিনেমা দেখতে যাওয়া কি কোন শোকের মধ্যে পড়ে? স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এইরূপ পোস্ট সমাজের মাধ্যমে কি প্রভাব ফেলছে? বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন এই দুর্গোৎসবের জন্য যাতে এই চার থেকে পাঁচ দিন যেন তাদের আয় হয় এবং তা দিয়ে তাদের সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য দুমুঠো অন্য ও নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে পারবেন। দুর্গোৎসব যদি বয়কট হয় তবে এই সকল মানুষগুলির কি হতে পারে এই ধারণা সকল প্রতিবাদীদের মনের মধ্যে প্রস্ফুটিত হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!