ভারতের বর্তমান উন্নয়ন বেশ চোখে পড়ার মতো। প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভারত এখন বেশ এগিয়ে আছে। আর্থিক উন্নয়ন যথেষ্ট হলেও তা আজও বেশ বিতর্কিত। তবে একটা কথা স্বীকার করতেই হয় যে আগের তুলনায় শিক্ষার হার বেড়েছে এবং কমেছে নিরক্ষরতা। কিন্তু নিরক্ষরতা কমিয়ে কি আদৌ কোন লাভ হয়েছে? আজ ও জাতি ধর্ম নিয়ে বহু শিক্ষিত মানুষ এমন কি সরকারি আমলা থেকে নেতা নেত্রীরা পর্যন্ত কুসংস্কারে বিশ্বাসী।
আজ আপনাদের জানাবো এমন সব তথ্য যা জানলে আপনারা হয়তো অবাক হবেন।
জেল যাকে এখন শংশোধনাগার বলা হয় , যেখানে সাধারণত চিহ্নিত অপরাধীদের ও রাজনৈতিক বন্দীদের বিচারাধীন অবস্থায় বা অপরাধের শাস্তি স্বরুপ নিজেদের শংশোধন করার জন্য বন্দী রাখা হয়। এমন জায়গায় কি আপনি অকারনে যেতে চাইবেন? নিশ্চিতরূপে আপনার উত্তর হবে – না। কিন্তু ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে, বিশেষ করে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও বিহার সহ বেশ কিছু রাজ্যের হিন্দু সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলারা স্বেচ্ছায় জেলে যেতে ইচ্ছুক। এবং তারা এই জেল যাত্রা যাতে নিশ্চিত হয় তার জন্য তারা নিপুন ষড়যন্ত্রও করেন। কিন্তু কেন? কারন, তাদের অন্ধবিশ্বাস। যেহেতু তারা গোঁড়া হিন্দু এবং তারা জানেন যে স্বয়ং কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল কারাগারে তাই তারা পুত্র সন্তানের কামনা করে গর্ভাবস্থায় জেলে যেতে এবং সেখানেই সন্তান কে ভুমিষ্ঠ করতে ইচ্ছুক। জেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলেই পুরুষ সন্তান হবে এটাই তাদের অন্ধবিশ্বাস। এবং এই জেল যাত্রা সুনিশ্চিত করতে তারা গোপনে আইনি পরামর্শ নেন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী তারা বাড়িতে প্রচুর বিদেশী মদ কিনে জমা রাখেন আর অন্য কাউকে দিয়ে স্থানীয় থানায় বেআইনি মদ জমা রাখার অভিযোগ দায়ের করিয়ে দেন। পরবর্তীকালে পুলিশ এলে তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে আনন্দের সাথে গ্রেফতার বরন করেন এবং নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কোন চেষ্টাই করেননা ফলত জেল যাত্রা নিশ্চিত হয় ছয় মাস থেকে এক বছরের জন্য।
একটি সংবাদ মাধ্যম কে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে, তিহাড় জেলের প্রাক্তন জেলার সুনীল গুপ্তা এমনই সব অদ্ভুত তথ্য তুলে ধরেন। সম্প্রতি তিনি জেলার পদ থেকে অবসর নেবার পর তিনি একটি উপন্যাস লেখেন যেখানে এরকম আরো তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও জানান, এই জেল নিয়ে রয়েছে আরো অনেক কুসংস্কার। কিছু উদীয়মান নেতা সহ বেশ কিছু আমলা আছেন যারা জ্যোতিষীর ওপরে ভীষন রকম বিশ্বাসী। তাদের জ্যোতিষীর মতামত অনুযায়ী, তারা যদি জেল বা শংশোধোনাগারে তৈরী খাবার কোন ভাবে আনিয়ে রাতে স্নান করে ভক্তি সহকারে গ্রহন করেন তাহলে তাদের ভবিষ্যতে আর কখনও জেল যাত্রা হবেনা। এবং সেই কারনে অনেক নেতা ও আমলারা গোপনে জেলের নিম্ন স্তরের কর্মীদের দিয়ে সেই খাবার আনিয়ে ভক্ষনও করন। তবে জেল বা শংশোধোনাগারের খাবার কোন অংশেই খারাপ হয়না। কারন বেশীর ভাগ খাবারের উপকরণ মাদার ডেয়ারী থেকেই সরাসরি সরবরাহ হয়ে থাকে।