পুজো মানেই শুরু পেট পুজো। বাঙালি মানেই খাদ্য রসিক। মাছে-ভাতে বাঙালির পুজোর সময় কিন্তু শুধু মাছে-ভাতে ঠিক মন ভরে না। বাড়িতে অনলাইন অর্ডারে হোক বা রেস্তোরাঁতে প্রিয়জনেদের সাথে কব্জি ডুবিয়ে পেট পুজো এই সব না হলে পুজো ঠিক জমেনা। পুজোর আরো একটা উপাদান না থাকলে,পুজো অসম্পূর্ণ। তা হলো পুজোর গান। সেই গ্রামোফোন রেকর্ডের সময় থেকে অনলাইনে মিউজিক রিলিজ, সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে।
খাওয়া আর গান এই দুই উপাদান মিলে গেল ভূতের রাজা দিল বর-এর পুজোর গানে। বাংলা গানের জগতের বিশিষ্ট শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া,লেখা এবং সুর করা গান “খাও আর গাও”, প্রকাশ পেল রেস্তোরাঁর যাদবপুর আউটলেটে। মিউজিক ভিডিওতে রাঘবের সাথে আছেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, সুমনা দাস, অলক সান্যাল, মধুমিতা চক্রবর্তী। পরিচালনা করেছেন জিৎ চক্রবর্তী। গান প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই উপস্থিত ছিলেন রেস্তোরাঁর কর্ণধার রাজীব পাল।
রাঘব চট্টোপাধ্যায় বললেন,” অনেক দিন বাংলায় খাওয়া -দাওয়া নিয়ে এরকম গান হয়নি। বাঙালির পেট পুজো ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। এই গানটা আমি আগে মঞ্চে গাইতাম। সেখানে শ্রোতাদের খুবই ভালো প্রতিক্রিয়া পাই । সেই থেকেই গানটা রেকর্ড করার চিন্তা করি। রাজীবকে বলতেই কাজটা শুরু হয়। আমার ভালো লাগছে গানটা পুজোর আগে প্রকাশিত হলো।আশা করি গানের পুজোর পাশাপাশি বাঙালি পেটের পুজোতেও মেতে উঠবেন।” রাজীব পাল, কর্ণধার, ভূতের রাজা দিল বর, বলেন, “ভূতের রাজার তিন বরের মধ্যে গানের বরও ছিল। সেটা মাথায় রেখেই পেটের পুজোর পাশাপাশি, পুজোর গানেরও ভাবনা মাথায় আসে।আর গানটা যখন খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আশা করি গানটা সবার ভালো লাগবে।”
গানটা শিল্পীর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি রেস্তোরাঁর ইউটিউব চ্যানেলেও মুক্তি পেল।