দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা গানটা মনে আছে নিশ্চয়ই? “এমন দেশ টি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, এ যে সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি।” সত্যিই আমাদের এই দেশ, এই জন্মভূমি নিয়ে ঠিক যতটাই গর্ব হয় ততটাই অবাক হতে হয় আমাদের দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানান তথ্যের খোঁজ খবর পেয়ে। ঠিক সেরকমই একটি তথ্য আজ আপনাদের জানাতে চলেছি।

আমাদের ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে নানান দেব দেবীর জাগ্রত মন্দির। যে সব মন্দির গুলির ওপর রয়েছে পৃথিবী বাসির আস্থা ও বিশ্বাস। এই সব মন্দির গুলিনিয়ে শোনা যায় নানা অলৌকিক রহস্যের কাহিনী যা আজও রহস্যই থেকে গেছে। সেই সব মন্দিরে ভক্তরা সৎ মনে যা প্রাথনা করেছেন তাই পেয়েছেন বলেই শোনাযায়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন একটি মন্দির আছে যেখানে ভগবান আপনার আপদ বিপদের দিনে, কোটি টাকা পর্যন্ত নগদ টাকা আপনাকে ঋন দেন এবং বিনা সুদে। শর্ত একটাই আপনাকে টাকাটা পরিশোধ করতে হবে।

রাজস্থানের প্রতাপগড়েই রয়েছে এক প্রাচীন মন্দির। যা রোকাড়িয়া হনুমান মন্দির নামে প্রসিদ্ধ। ২০০৮ সালে মন্দিরটি নবনির্মিত হলেও, রোকাড়িয়া হনুমানজীর মূর্তি প্রায় হাজার বছরের বেশী পুরানো। রোকাড়িয়া কথাটির স্থানীয় অর্থ হল নগদ। আর এই হনুমানজীর মুর্তিতেই রয়েছে একটি বিশেষ পকেট (গহ্বর) যেখানে নগদ টাকা থাকে। ভক্তরা তাদের প্রয়োজনে, সৎ উদ্দেশ্যে যেমন কন্যার বিবাহ, রোগের চিকিৎসা, গৃহ সংস্কার ইত্যাদি আপদে বিপদে প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা নিতে পারেন বিনা সুদেই। শর্ত একটাই দীর্ঘদিন সময় নিয়েও সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা নেওয়া যায়না।

শোনাযায় একবার এক চোর গভীর রাতে, মন্দির প্রহরীহীন থাকার সুবিধায় রাতে প্রবেশ করে রোকাড়িয়া হনুমানজীর পকেট থেকে টাকা বের করতে হাত ঢোকায়। কিন্তু টাকা নিয়ে হাত ভিতরে আটকে যায় যা হাজার চেষ্টা করেও চোর নিজের হাত বার করতে পারেনি। সারাটারাত ওখানেই আটকে বসে থাকে। ভোরে পুরোহিত এসে দেখে গ্রামবাসীদের খবর দিলে তারা এসে চোর কে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।