Soumen D : বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা গোটা দেশে তথা পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছিল । সরকারী বা বেসরকারি হসপিটাল গুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছিল টা বেশ উদ্বেগ জনক। কোলকাতায় আজ সংক্রমণের হার প্রায় ৩০০০ ছুঁই ছুঁই আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
করোনা যে এখনো আমাদের ছেড়ে যায়নি তা জনসাধারণ প্রায় ভুলেই গেছে। পথে ঘাটে বাজারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা , স্যানিটাইজার ব্যাবহার বা মাস্ক ব্যাবহার প্রায় উঠেই গেছে। স্কুল কলেজ অফিস বাজার শপিং মল গুলিতে করোনা বিধি মেনে চলার কোন লক্ষণ নেই। বাস ট্রেন বা অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা গুলীতে যে হারে ভীড় দেখা যায় তাতে কখনো কখনো মণে হয় আদৌ করোনা নামে কোন মহামারী কোলকাতায় এসেছিল কিনা।
গোপন সূত্রের সংবাদ অনুযায়ী , আজ নবান্নে করোনা সংক্রান্ত একটি জরুরী বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়র জনাব ফিরাদ হাকিমের সাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক , কোলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিসের ঊচ্চ- আধিকারিক সহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আলোচনা অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশী আর যদি এখণ থেকে এই সংক্রমণ প্রতিরোধ না করা হয় তাহলে আয়ত্তের বাইরে যেটে পারে। ইতিমধ্যেয়ই মাননীয়া প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫ বছর অবধি কিশোর কিশোরী দের করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন চালু করেছেন । আজকের বৈঠকের পরে মাননীয়া স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আগামীকাল দুপুর ৩ টের মধ্যেয় করোনা সঙ্ক্রমণের একটি ফাইনাল রিপোর্ট চেয়েছেন তার পরে হয়তো আগামী সোমবার থেকে উত্তর ২৪ পরগণার বেশ কিছু জায়গায় সংক্রমণ অনুযায়ী আংশিক লক- ডাঊণ ঘোষণা করতে পারেন বা কোয়ারেণ্টাইন জোন ঘোষণা করতে পারেন ।