পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ প্রেসিডেন্সি কলেজ তাকে চাকরি অফার করলে সেই যুগে দাঁড়িয়ে ইংরেজদের সমান মর্যাদা ও বেতন দাবী করেছিলেন তিনি। এই কথাটা অনেকেই হয়তো জানি না কিন্তু মানুষটাকে সকলেই চেনেন। তিনি বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। কোর্টে আর বিশ্ব বিদ্যালয়ে সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন তিনি। তাই আজ তার ১৫৯ তম জন্মদিনেও তাকে মনে রেখেছে বাঙালি।
কলকাতা হাইকোর্টের দুঁদে ব্যারিস্টার ও কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজের এই দুই পদে তিনি সমান সাবলীল ছিল। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ে নিয়ম ছিল পরীক্ষার সময় প্রশ্ন পত্রের সবকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কিন্তু তিনি এসে এই নিয়মে পরিবর্তন এনে বিকল্প প্রশ্ন চালু করেন। ছাত্রদের পরীক্ষার প্রতি ভয় দূর হয় এখান থেকেই। তিনি কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন হয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া করেন। তার আগে কেউ বাংলা ভাষাকে এত বড় সম্মান দিয়েছেন কিনা তা জানা যায়না।
শিক্ষাবিদ ছাড়াও ব্যারিস্টার হিসেবে খুবই প্রসিদ্ধ ছিলেন তিনি। সেই ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালিদের সপক্ষে বহু মামলা লড়ে জিতেছেন তিনি। তার বরাবর স্বপ্ন ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার। যদিও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে তার। কিন্তু সমাজ সংস্কারক হিসেবে বাঙালির মনে থেকে যাবেন আজীবন। মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে পর্যন্ত তিনি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯২৩ সালে বিশ্ব বিদ্যালয় এবং হাইকোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯২৪ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।