বাঁকুড়ার জিড়রা গ্রামের বিশ্বজিৎ কর্মকার আরোও একজন যুবক যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরির মুখ দেখতে পায়নি। বাবার একটি ছোট্ট চায়ের দোকান এবং তার সাথে পরিবারের দায়িত্ব। সব নিজের পড়াশোনা পরিবার সব মিলিয়ে জীবনধারণের জন্য নিজের ছোটবেলার প্যাশনকেই একপ্রকার পেশায় পরিণত করেছেন বিশ্বজিৎ।
বিশ্বজিৎ গান গাইতে ভালবাসে, যদিও গান শিখে নি সে কোনদিন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ধরনের মেটাফরিক্যাল অর্থাৎ রূপক গান , দেশাত্মবোধক গান, সম্পর্কের গান এবং বাঁকুড়ার গান গেয়ে থাকেন বিশ্বজিৎ। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গান গেয়ে অর্থ উপার্জন করছেন বিশ্বজিৎ কর্মকার। নিজের গানগুলিকে গিয়ে রেকর্ডিং করার মতো যন্ত্রাদি ছিলনা বিশ্বজিতের। সেই স্বপ্নের মিউজিক সেটআপ তৈরি করার আর্থিক ক্ষমতাও ছিল না। তবে তার গানের মূর্ছনা শুনে এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে মিউজিক সেটা আপ উপহার স্বরূপ দেন।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে গান গেয়ে স্বপ্ন দেখছেন বলে অনেকেই উপহাস করে বলেছেন “কি হবে গান গেয়ে , তোর বাবা তো ভিখারি হয়ে যাবে” শত উপহাস উপেক্ষা করে নিজের স্বপ্নকে তাড়া করছে বিশ্বজিৎ। তার ইচ্ছা একটাই যে ভবিষ্যতে গান গেয়ে নিজের বাবা মার মুখে হাসি ফোটানো। আঞ্চলিক গান গেয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নিজের একটি কমিউনিটি তৈরি করেছেন বিশ্বজিৎ। সকলের উৎসাহ উদ্দীপনা এবং ভালোবাসায় তার এই গানের অভিযানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বজিৎ আরো একজন যুবক যার চাকরি নেই বলে অভিমান থাকলেও কোনো অভিযোগ নেই। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে বসে না থেকে বা থেমে না থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিশ্বজিৎ। বাঁকুড়া থেকে দেবজিৎ দত্ত