কলকাতা: কলকাতার কুমোরটুলি ঘাট চত্বরে মঙ্গলবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। দুই মহিলাকে একটি নীল ট্রলি ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা তাঁদের চেপে ধরেন। ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে এক মহিলার দেহাংশ! স্থানীয়দের অভিযোগ, খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে দিতে এসেছিলেন তাঁরা।
কি ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক দুই মহিলার নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। তাঁরা মধ্যমগ্রামের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় জেরা করা হলে তাঁরা প্রথমে দাবি করেন, ব্যাগের ভিতরে কুকুরের দেহ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা সেই দাবি মানতে নারাজ হন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

মুণ্ডহীন দেহ নাকি কুকুরের মৃতদেহ?
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যাগের ভিতরে থাকা দেহটি আসলে সুমিতা ঘোষ নামে এক বৃদ্ধার, যিনি সম্পর্কে ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি। তবে এটি খুনের ঘটনা কি না, দেহটি কিভাবে মারা গিয়েছে বা কোথা থেকে আনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ট্রেনের টিকিট থেকে কী জানা গেল?
আটক মা-মেয়ের কাছ থেকে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনের কাজীপাড়া স্টেশনের ট্রেনের টিকিট উদ্ধার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা সেখান থেকেই কলকাতায় আসেন এবং প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাটে দেহ ফেলার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাঁরা কুমোরটুলি ঘাটে যান, কিন্তু সেখানে সন্দেহজনক আচরণের কারণে ধরা পড়ে যান।

পুলিশের তদন্ত ও স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
পুলিশ তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এবং পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনাকে খুনের চেষ্টা বলে দাবি করছেন এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক ঘটনায় কলকাতা উত্তপ্ত!
এই ধরনের ঘটনা কলকাতার মতো শহরে বিরল হলেও সম্প্রতি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশের তৎপরতায় এই মামলার প্রকৃত রহস্য সামনে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।