অম্বিকা কুন্ডু | কলকাতা, বাইশে আগস্ট ২০২৪
মাত্র কিছুদিন আগেই গোটা বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনরায় স্বাধীন হওয়ার । ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে এই বাংলাতেও। ছাত্র আন্দোলনের জেরে যেমন ওপার বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হারাতে হয়েছে তার সিংহাসন। এই একই সুরে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আগামী ২৬ শে আগস্ট এর মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে। এবং তারা এও জানিয়েছেন পদত্যাগ না করলে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ২৭শে আগস্ট আয়োজন করা হবে নবান্ন অভিযান।
গত ২০শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপণের ফলে বিপদে পড়তে দেখা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ওই ঘটনা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এই রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষ ও ছাত্র সমাজের বুকে।
গত ২০ শে আগস্ট বিজেপি ছাত্র সংগঠন শীল ভারত কর্মী সমর্থকের পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। চারিদিকে এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল এবং আর জি কর কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থকেরা। সেই মিছিলে পুলিশ ও বিদ্যার্থী কর্মীদের মধ্যে ও লাঠিচার্জের সৃষ্টি হয়। এবং বেশ কিছু কর্মীদের গ্রেপ্তারও করা হয়।
এই রাজ্যের এইরূপ ঘটনার সাথে আমরা এর আগেও থেকেছি ঠিক অন্যরূপে এবং অন্যভাবে, সেই মুহূর্তে দর্শক ছিলাম আমরা এবং ঘটনাটি ঘটছিল ওপার বাংলায়। ওপার বাংলার মতোই এ বাংলাতেও ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসকের খুন ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদ দিয়ে কিন্তু এর অন্তিম কি ঠিক ওপার বাংলার মতোই রাজার রাজসিংহাসন ত্যাগ দিয়ে? যদি তাই হয় তবে এই ঘটনায় কি রাজ্যবাসী লাভবান হতে পারে?