অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
চন্দ্রযান-৩ ২০২৩ সালের ১৪ই জুলাই ভারতীয় স্থানীয় সময় দুপুর ২:৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক মিশনটি ভারতের তৃতীয় চাঁদ অনুসন্ধান প্রচেষ্টা এবং চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ২৩ শে আগস্ট ২০২৩ সালে।
তবে এবার চন্দ্রযান ৪ এর পালা। চন্দ্রযান চার নিয়ে সায় দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এই অভিযানের আওতায়, চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। শুধু তাই নয়, চাঁদের মাটিতে অবতরণ, নমুনা সংগ্রহ করে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। চন্দ্রযান ৪ এর খরচ বাবদ রাখা হয়েছে ২১০৪.০৬ কোটি টাকা। এই অভিযানটি দীর্ঘ মেয়াদী করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এবার ISRO আরো অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে। এবার ভারত কতটা প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে তারই প্রমাণ করার জন্য চাঁদের কক্ষপথে নোঙর করা, চাঁদের মাটিতে নেমে নমুনা সংগ্রহ করা, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা এবং পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে মাটি ছোঁয়া, প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চন্দ্রযান ৪ অভিযানের মধ্যে দিয়ে ভারতকে নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে অন্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে মহাকাশের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি লক্ষ্য রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে মানুষকে নামানোর পরিকল্পনাও করছে ISRO.