জম্মু- কাশ্মীরে ৯০ এর দশক থেকেই হিন্দু পরিবার গুলি কে নির্মম ভাবে হত্যা করার অভিযোগ ছিল বহুদিনের । তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু কাশ্মীরে বসবাস কারী হিন্দু পরিবার গুলি কে মুসলিম উগ্রবাদী দের হাত থেকে সেই অর্থে নিরাপত্তা না দিতে পারার জন্য বহু হিন্দু পরিবার জম্মু কাশ্মীর ছেড়ে তারা অন্যত্র চলে যান। পরবর্তী কালে মোদী সরকার গঠন হবার পর থেকেই জম্মূ কাশ্মীর সীমান্তে উগ্রপন্থী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া শুরু হয়। পাক মদতে ও ষড়যন্ত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের যুব সমাজ কে নানা ভাবে ভূল বুঝিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ও স্থানীয় হিন্দু পরিবার গুলি কে ধর্মের আড়ালে নির্মম ভাবে হত্যা করার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারতীয় সেনা।
আগে জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা বাহিনী বা পুলিশ কে দেখলেই শুরু হয়ে যেত পাথর ছোঁড়া । শোনা যায় পাথর প্রতি ২০০ টাকা করে প্রদান করতো পাক সরকার। আবার পাহাড়ী সীমান্ত পেরিয়ে জম্মু কাশ্মীর লাগোয়া গ্রামে আশ্রয় নিত পাক উগ্রপন্থীরা সে সবও বন্ধ করেছে ভারতীয় সেনা। গ্রামবাসী দের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের কে ষড়যন্ত্র মুক্ত করেছেন ভারতীয় সেনা। এর পর থেকেই শুরু হয় হিন্দু পরিবার গুলি কে উৎখাত ও হত্যার ষড়যন্ত্র কারী দের গ্রেফতার করা।
জম্মু কাশ্মীরে হিন্দু হত্যার প্রতিবাদে কিছুদিন আগেই মুক্তি পায় দ্য কাশ্মীর ফাইলস নামে একটি চলচ্চিত্র যেখানে খুব স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে কিভাবে কাশিমে হিন্দু পরিবারের ওপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে । এর পরেই ভারত সরকার ইসাসিন মালিক কে পাক মদতে হিন্দু পরিবারের ওপর অত্যাচার করার কারনে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন। তার কিছুদিন পরেই কাশ্মীরে একটি এস বি আই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে কর্মরত বিজয় বেনিওয়াল কে প্রকাশ্য দিবালোকে বাঙ্কের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করে উগ্রবাদীরা।
যার সি সি টিভি ফুটেজ ও প্রকাশিত হয়েছিল নেট মাধ্যেমে। গত কাল ভারতীয় সেনা বাহিনী গোপন সুত্রে খবর পাবার পরেই কাশ্মীরের সপিয়ানে একটি অভিযান চালায় এবং সেখানে উগ্রবাদী দের সাথে শুরু হয় গুলি বর্ষণ। ভারতীয় সেনা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন , এই অভিজানে দুজন উগ্রবাদী কে তারা নিকেশ করেছেন জাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিজয় বেনিওয়ালের হত্যাকারী ।