গত ৪ অক্টোবর বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর থানার মহিষমারি গ্রামে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। ১০ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ১৯ বছরের যুবক মোস্তাকিন সর্দারের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর পরই পুলিশ সক্রিয় হয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশ ঢালীর নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়।
মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার পক্ষ থেকে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় বিশিষ্ট আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে। ৫ নভেম্বর থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পকসো আদালতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।
আজ, মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক। অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা কোনো আলাদা আন্দোলন না করে ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আদালতের এই দ্রুত রায় সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
এই রায়ের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হলো যে, ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব, এবং আইনের হাত যথেষ্ট লম্বা