স্বর্ণালী পাত্র, কলকাতা: ২০১৯-এ বিরসা দাশগুপ্তের সুপারহিট ছবি “বিবাহ অভিযান”-এর পর, ২০২৩-এ “আবার বিবাহ অভিযান” নিয়ে হাজির হয়েছেন পরিচালক সৌমিক হালদার। গতকাল অর্থাৎ জামাই ষষ্ঠীর লগ্নে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করে। ২০১৯ এর ধারা বজায় রেখে এই ছবিতেও রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার,নুসরাত ফারিয়া,অঙ্কুশ,সোহিনী সরকার ও রুদ্রনীল ঘোষ। এছাড়াও “আবার বিবাহ অভিযান”-এ উপরি পাওনা হিসেবে সৌরভ দাসের দেখা মিলবে সম্পূর্ণ নতুন এক চরিত্রে।
প্রথম ছবিটি যেখানে শেষ হয়েছিল ঠিক সেখান থেকেই শুরু হবে দ্বিতীয় ছবির গল্প। চরিত্ররা সব একই থাকলেও অভিযান হবে নতুন। অনেকে বলেন বিয়ে হল “দিল্লি কা লাড্ডু!”এই ছবি দেখে বারবার সেই কথাই মাথায় আসবে। গল্পের শুরুতেই দেখা যাবে বুলেট সিং অর্থাৎ গনসা (অনির্বাণ ভট্টাচার্য) জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং তার কাছে রয়েছে ১০০ কোটির সম্পত্তি। সেই সম্পত্তি সে তার দুই বন্ধু রজত (রুদ্রনীল ঘোষ) এবং অনুপম (অঙ্কুশ হাজরা) – এর সাথে ভাগ করে নিতে চায়। তার জন্য তাদের যেতে হবে থইল্যান্ড( থাইল্যান্ড )- এ। সম্পত্তির লোভেই শুরু হয় গণেশ রজত অনুপমের “থৈল্যান্ড” যাত্রা। এখানে গিয়ে তাদের আলাপ হয় অদ্ভুত এক চরিত্র হাফ ব্রাজিলিয়ান হাফ রাশিয়ান মাইকেলের (সৌরভ দাস) সাথে। যার সমস্ত কথার শেষে থাকে “স্কি”।
বউ যতই আদরের হোক বরেরা সবসময় চায় বউয়ের নজর কিংবা শাসনের থেকে হাত ফসকে বেরোতে, এমনটাই রুদ্রনীল ঘোষের লেখা চিত্রনাট্যে ঘুরে ফিরে আসে। থাইল্যান্ডে গিয়ে জিৎ গাঙ্গুলীর সুরে “সবই মায়া” হয়ে যায়।
বরেদের থাইল্যান্ড অভিযানের পর শুরু হয় তিন বউয়ের বেপাত্তা স্বামীদের উদ্ধার অভিযান। এরপর গল্প এগোয় নানান হাসি মজার মধ্যে দিয়ে। থাইল্যান্ডে গিয়ে নানা ঠকবাজদের পাল্লা থেকে কিভাবে উদ্ধার পায় তিন বন্ধু সেই নিয়েই ছবি।
কমার্শিয়াল মাসালা ঘরানার এই ছবি দর্শকদের হাসতে এবং নাচতে অবশ্যই বাধ্য করবে। নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করে একটু “এঞ্জয়স্কি” করতে হলে চলে যেতে পারেন থাইল্যান্ডে থুরি সিনেমা হলে”আবার বিবাহ অভিযান” দেখতে।