আজকের যুগে দাড়িয়ে বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলবার এক প্রকার শক্তি । বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি এতটাই উন্নত হয়েছে যার দ্বারা বিশ্বের যে কোনো কাজ সহজেই করে নেওয়া সম্ভব । আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে আজ মানুষ ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি যেমন মানুষকে এগিয়ে দিয়েছে কয়েক ধাপ উপরে । একই রকম ভাবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আজ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর জেরে বিপন্ন বহু নারীর সম্মান। কারণ এই ডিপফেক পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে বহু মহিলা অজান্তেই হয়ে যাচ্ছে নীল ছবির নায়িকা । ডিপফেক প্রযুক্তি হলো এমন এক প্রযুক্তি যার দ্বারা যে কোনো ভিডিওতে, যে কোনো মানুষের মুখ হুবহু নকল করে বসানো সম্ভব । কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই এটা নকল । হুবহু একই রকম । এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি যে কারো মুখ সহজেই বসিয়ে দেওয়া যায় যেকোনো ভিডিওতে, তবে যে কেউই হতে পারে এই প্রযুক্তির শিকার।
বিভিন্ন নীল ছবির নির্মাতারা নানা পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখকে এইভাবে ডিপফেক প্রযুক্তির দ্বারা হুবহু নকল করছে। বিশাল আকারে এই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এই নীল ছবির দুনিয়ায় । তেমনি বিপন্ন হচ্ছে বহু নারী সন্মান । শুধুমাত্র নারী সম্মানই নয়। বলা যেতে পারে যেকোন মানুষের সম্মানহানি হতে পারে। অপরাধ জগত ইচ্ছামত এই প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে ঘটাতে পারে একাধিক অপরাধ।
আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে কারো ছবি পাওয়া খুবই সহজ একটি কাজ । আমরা সর্বদাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত শেয়ার করছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তো যে কারো সম্মানই এক মুহূর্তে ধূলিসাৎ করতে পারে এই ডিপফেক প্রযুক্তি । তাই প্রশ্ন উঠছে আজকের দিনে মানুষের সুরক্ষা কোথায় ? আদৌ কি এর থেকে বাঁচা সম্ভব।নাকি প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই ডিপফেক প্রযুক্তির রমরমা বাজারে আরও বাড়তে চলেছে? এই ভেবেই চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে।