অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
বেশ কিছুদিন ধরে টিভি এবং মোবাইল স্ক্রিনে ফুটে উঠছে তৃণমূল সাংসদদের বাক্য প্রয়োগ আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদকে ঘিরে। কেউ অনুদান এর সাথে সরকারি পুজোর বোনাস কে সমান বলছে, কেউ আবার এত প্রতিবাদ কে চক্রান্ত বলছে। রাজ্য সাংসদদের কাছ থেকে এইরূপ অসংযত ব্যবহার প্রত্যাশিত নয়। সাংসদদের এই রূপ অসংযত বাক্য প্রয়োগে ফলে রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাংসদ বিধায়কদের জন্য সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। যে আরজি কর কান্ডকে ঘিরে কোনরকম অসংযত বাক্য প্রয়োগ না করার জন্য। সতর্কীকরণের পরও সাংসদ বিধায়ক পরেশরাম দাস মেয়েদের রাত দখল কে চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছে।
পরেশ্রাম দাসের এই রূপ অসংযত ব্যবহারের কারণে অপরাজিত আঢ্য।
অপরাজিত আঢ্য বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন ‘আমি আগেও এই মন্তব্য শুনেছি। আমার মনে হয় ওঁর তেমন কোনও কাজ নেই। উনি এটাকেই সবচেয়ে বড় কাজ বলে মনে করছেন। এখন সম্ভবত দল থেকেই সবাইকে বলা হয়েছে কেউ যেন এমন কোনও কাজ না করেন যা সাধারণ মানুষের আবেগকে ধাক্কা দেবে। উনি যদি এই প্রছন্ন হুমকি দেওয়াটাকে কাজ বলে মনে করেন এবং এটাকে ওঁর এলাকাতে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের ও সাধারণ মানুষকেই এটার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। ওনার দলকেও ভাবতে হবে। ওনার দলকেও নিশ্চয়ই বোঝার মতো মানুষ আছে। তাঁরা ওকে বোঝান যে কথাগুলি উনি বলছেন সেগুলো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলার সময় নয়। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে মানুষ আওয়াজ তুলছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলি বলা ভীষণ অসম্মানের।
যদি সাধারণ মানুষকে সম্মান অসম্মানের জ্ঞান না থাকে, তাহলে পদে থাকাই উচিত নয়। যে এলাকায় উনি রুল করেন, সেই এলাকাবাসীকে উনি যদি সম্মান না করেন তাহলে ওঁর পদে থাকার অধিকার আছে বলে মনে করি না। বাকিটা ওনার দল বুঝবে আর এলাকাবাসী বুঝবে। উনি এভাবে কাউকে চেপে রাখতে পারবেন নাকি? মানুষের যেটা বলার মানুষ সেটা বলবেই কারণ মানুষের আবেগ জেগে উঠেছে। আন্দোলন তখনই হয় যখন মানুষের হৃদয় আন্দোলন হয়, চিত্ত জাগরিত হয়। আমার মনে হচ্ছে ওঁর লেখাপড়া খুবই কম। চিত্ত যখন জাগরিত হয় তখন মানুষকে হুমকি দিয়ে থামিয়ে রাখা যায় না। এটা ওঁর বোঝা উচিত।’