পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ নচিকেতা চক্রবর্তী বহুদিন আগে গানের মধ্যে বলেছিলেন, ‘প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ’। হ্যাঁ তাই ছিল এই দেশে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ। যদিও বিদেশে সেই নিয়ম নেই। আমাদের দেশে সেই নিয়ম আছে সাধারণ মানুষের জন্য, কিন্তু তারকাদের জন্য নয়। তারকাদের জন্য হলে সিনেমায় এত অবাধে চুমুর দৃশ্য দেখা যেত না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত মানুষজন এত অবাধে চুমু খাওয়ার ভিডিও শেয়ার করতে পারত না।
তবে সাধারণ মানুষের জন্য তা অপরাধ। অপরাধ বলেই তো আজও পার্কে বিভিন্ন কিশোর কিশোরী বা যুবক যুবতীকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গেলে তা অপরাধের সামিল হয়। সন্ধ্যের পর পার্কে পুলিশ ঘুরে বেড়ায় এমন যুগলকে ধরবেন বলে। ধরা পড়লেই পুলিশকে ঘুষ দিতে হয় ফাইনের নামে, আর সাথে হয়রানী তো আছেই। সেখানেই মনে পড়ে নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের পরবর্তী লাইন ‘ঘুষ নেওয়া কখনই নয়’। তাই চুমু খাওয়ার অন্যায়ের জন্য ঘুষ দিয়েই নিজেদের মুক্ত করতে হয়।
চুমু কোনও অন্যায় নয়। সেটা ভালবাসারই এক প্রকার বহিঃপ্রকাশ। হ্যাঁ ভারতের মত দেশে সেটা ভীষণ গোপন সেটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া কখনও অন্যায় নয়। সে কথা আবার প্রমান করে দিলেন থাইল্যান্ডের এক দম্পতি। যদিও থাইল্যান্ডের মত জায়গায় প্রকাশ্য চুমু অন্যায় নয়। বিশ্ব চুমুর রেকর্ড গড়লেন সেই দম্পতি। দীর্ঘ ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ধরে চুমু খেয়ে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করলেন তারা। পাটায়া তে আয়োজিত চুমু খাওয়ার প্রতিযোগিতায় ইক্কাচাই এবং লাক্সানা তিরানারাত নামের এক দম্পতি এই রেকর্ড তৈরি করেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটা সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তারা ১ লক্ষ থাই ভাট এবং দুটি হীরের আংটি পুরষ্কার পান।