দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আমাদের বিভিন্ন কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। ঘুম যদি একটি ব্যক্তির পর্যাপ্ত পরিমাণে না হয় তাহলে তার শরীরে নানা রকম অসুবিধা দেখা দেয়। একটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত বলছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকের মতে:-
১) ঘুমের ২-৩ ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন থেকে ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
২) ঘুমের ৬-৭ ঘন্টা আগে ক্যাফিন জাতীয় কোনো খাদ্যদ্রব্য খাওয়া অথবা পান করা যাবে না।
৩) ঘুমের আগে কোনো উত্তেজনা পূর্ণ কাজ অর্থাৎ জিম বা ব্যায়াম এই জাতীয় কিছু করা যাবে না।
৪) ঘুমের ৪-৫ ঘন্টা আগে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
৫) নেশা হওয়ার কোনো দ্রব্য বা মাদক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করতে হবে।
৬) ঘুমের আগে উত্তেজনক কোনো কিছু দেখে উচিত নয় এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো ঘুমের জন্য যেসব খাবার খাবেন-
১) রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। এতে রাতে ঘুম ভালো হবে। দুধে বিদ্যমান অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
২) মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ঘুমাতে সাহায্য করে।
৩) ডিমে আছে ভিটামিন ডি। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে, ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না।
৪) কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। তাই কলা খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়।
৫) লেটুস পাতায় বিদ্যমান ল্যাকটুক্যারিয়াম ভালো ঘুমে সহায়তা করে। এই পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে ও সালাদ করেও খেতে পারেন।
৬) মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। নিয়মিত মধু খেলে ভালো ঘুম হয়।
৭) সব্জির স্যুপ, আপেল, বাদাম, কিশমিশসহ অন্যান্য খাবার স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
৮) আখরোটেও ট্রিপটোফ্যান রয়েছে। এটি সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দুটি আখরোট খেতে পারেন।
৯) কাঠবাদামে বিদ্যমান ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে। স্নায়ু এবং মাংসপেশি শান্ত হলে ভালো ঘুম হবে।
১০) নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলে ভালো ঘুম হয়।