কুশল দাশগুপ্ত : কয়েকশো কোটি টাকা দিয়ে নতুনভাবে তৈরী হচ্ছে এনজেপী ষ্টেশন। একেবারেই আধুনিক করতেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এনজেপী ষ্টেশনকে। কিন্তুু এই “সাজিয়ে তোলার “প্রচেষ্টায় একেবারেই নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা বিশেষকরে পর্যটকেরা। যারা খুব একটা ভালোভাবে চেনেন না এনজেপী ষ্টেশনকে। কোথায় কি পাওয়া যায় তো একেবারেই দুরের কথা টিকিট কাটতে পযর্ন্ত হয়রান হতে হবে আপনাকে।
আগে যেখান থেকে টিকিট কাটা হত সেখানে আপনি কিছুই খুজে পাবেন না। এমনকি platform টিকিট কাটতে গেলেও আপনাকে খুজে বেড়াতে হবে কাউণ্টার। এতজনকে পারিসেবা দিয়ে একটি ষ্টেশনকে আধুনিক করতে গিয়ে দিনের পর দিন যাত্রীদের চরম সমস্যার মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন রেল কতৃপক্ষ। জিঞ্জাসা করলে অফিসারেরা জানিয়ে দিচ্ছেন একটু কষ্ট আমাদের সবাইকে করতে হবে।
ষ্টেশনে এখন সকাল হলে সূর্যের আলো পযর্ন্ত আসে না। এত বড় কর্মকাণ্ড চলছে সময় এবং সমস্যা নিয়েই চলতে হবে আমাদের জানিয়ে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেলের এক অফিসার।একেই তো চলছে কাজ তার উপরে দাপট টোটো এবং রিষ্কা চালকদের। ষ্টেশনে নেমে অনেকেই বুঝতে পারেন না কার কাছে যাবেন এবং কিভাবে যাবেন। এক যাত্রী জানালেন আমরা মাসে তিনবার কলকাতা যাই,এখন এমন অবস্থা হয়েছে নিজের শহরে নিজেদের ষ্টেশনকেও চেনা মুষ্কিল হয়ে যাচ্ছে আমাদের।
উপরন্তুু সাথে যদি বাচ্চারা থাকে সমস্যা আরো বাড়ে আমাদের। আধুনিক হচ্ছে খুব ভাল কথা কিন্তুু রোজ রোজ যেভাবে ঝামেলার মুখোমুখি হচ্ছেন সাধারন মানুষ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন। বলা হচ্ছে আরো এক থেকে দেড় বছর লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে।ততদিন এনজেপী থেকে যেতে এবং এনজেপীতে আসতে যাত্রীদের যদি এইভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হয় তবে সেটা একেবারেই দুর্ভাগ্যজনক। যদিও টিকিট কাউণ্টারের জন্য একটা স্থায়ী ব্যাবস্থা করতে চলেছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। সেটা হলেই যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তুু ততদিন কি এইভাবেই চলবে এনজেপী ষ্টেশন? এইকথাই ঘুরছে সকলের মুখে মুখে।