পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ দুপুরে খাওয়ার পর একটু গড়িয়ে নিতে, গা এলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু সরকারী হোক বা কর্পোরেট সকল কর্মচারীদের জীবনে সেই সুখ একেবারেই নেই। কিন্তু যদি এমন হয় অফিসে গিয়ে ঘুমনোই চাকরি, সেটাই কাজ। যত নিখুঁত ভাবে ঘুমোতে পারবেন তত বেশি টাকা। হ্যাঁ এমনই এক প্রোগ্রাম পুনরায় শুরু করতে চলেছে ব্যাঙ্গালুরুর একটি ম্যাট্রেস সংস্থা। গতবছর তারা এই প্রোগ্রাম করেছিল। সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন পরের বছরও সেই একই ‘স্লিপ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’ করছেন ‘ওয়েকফিট’ নামক ম্যাট্রেস সংস্থা।
গতবছর এই প্রোগ্রামে সারা ভারত থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ আবেদন করেছিল, যদিও মাত্র ২৩ জন মানুষ সেই সুযোগ পেয়েছিল। গতবারের অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই পরের বছর আবার এই অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি। ‘ওয়েকফিট’ সংস্থাটি জানিয়েছেন, আগের বারের থেকে এই বছরে কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নিয়মে ঘড়ি ধরে ৯ ঘণ্টা ঘুমনো বাধ্যতামূলক। এবং টানা ১০০ দিন ধরে করতে হবে সেই একই কাজ।
তবে বিশেষ পর্যবেক্ষকরা নজর রাখবেন সবসময়। ঘুমের নামে ফাঁকি দিলে হবে না, শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়তে হবে, চোখ পিটপিট করলেই বাতিল ঘোষণা করা হবে। সুতরাং যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ হবে না বিষয়টা। নিজে ঘুমের পাশাপাশি অন্যদের ঘুমোতে সাহায্য করলে পয়েন্টস বারবে। হাই তোলা, ঝিমুনি বা আলস্যের ভাব থাকলে পয়েন্টস বারবে অনেকটাই। অনুষ্ঠানে সফল ‘নিদ্রাশিল্পী’দের জন্য প্রোগ্রাম শেষে রয়েছে ১ লক্ষ টাকা পুরষ্কার।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ঘুম নিয়ে প্রথাগত চিন্তার বদল আনতেই এই উদ্যোগ তাদের। ঘুম কাতুরে অলস মানুষদের বরাবরই বাকা চোখে দেখে সমাজ। এই ভাবনাতেই বদল আনতে চান তারা। সুখনিদ্রা যে কতটা স্বাস্থ্যকর সেই ধারণা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই চান তারা। ঘুম কে তারা একটি উৎকৃষ্ট শিল্প বলে ঘোষণা করেছেন। আর প্রতিযোগীদের ‘নিদ্রাশিল্পী’ বলেই অভিহিত করছেন তারা।