এ যেন সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার থেকেও বড় খবর। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য সরকার কে ৬৩৮ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র।
একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকার কে নিশানা করেরেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল রাজ্যে এসে গত বছর জুলাই মাস থেকে একের পর এক শাষকদলের মন্ত্রী ও যুবনেতা দের গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ও বিভিন্ন জায়গায় রেড করে হিসাব বহির্ভূত প্রায় বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা ও প্রভূত অর্থের সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। যা আপামোর বাঙালি একসাথে কশ্মিন কালেও দেখেনি। বাংলা ও বাঙালির কাছে এত পরিমানে হিসাব বহির্ভূত টাকার পরিমান দেখে অবাক দেশের প্রথম সারির ধনী ব্যাবসায়ীরাও।
কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে রাজ্য রাজনীতির বাজার চরমে ওঠার সাথে সাথেই মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে আগের বকেয়া টাকা নিয়ে দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। মাননীয়ার এই দাবীকে বার বার রাজ্যের বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিআরী ও কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ ব্যায়ের হিসাব জানতে চেয়েছেন। সে নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। এ নিয়ে রাজ্যের শাষক ও বিরোধী দলের নেতা নেতৃরা একে ওপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করলেও শীর্ষ নেতৃত্বদের সমীকরণ হয়েগেল সম্পুর্ন আলাদা।
কয়লা, গরু ও নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি নানান অভিযোগের মধ্যেই রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার অডিট চলার মধ্যেই দিল ৬৩৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের জন্য বরাদ্দ ৫৭৬ কোটি টাকা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর ভোটের আগেই এই টাকা রাজ্য সরকার কে নতুন করে ফর্মে ফেরার একটা পথ করেদিল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা।